Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বান্দরবানে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে : বান্দরবানে চলতি মৌসুমে কমলার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ভাল ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মহা খুশী কমলা চাষী। বান্দরবানের পাহাড়ে উৎপাদিত কমলা বিদেশী কমলার মত সুস্বাদু ও আকারে বড় হওয়ায় দেশব্যাপী পার্বত্য এলাকার এই কমলার রয়েছে প্রচুর চাহিদা।
জেলার রুমা উপজেলার ইডেন পাড়া, মুন্নম পাড়া, বেথেল পাড়া, রনিন পাড়া, মুরংগ পাড়া, শঙ্খমনি পাড়া, থানচি উপজেলার এ্যাম্পু পাড়া, কুনাংপাড়া, জিনিংঅং পাড়া, মঙ্গী পাড়া, রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া, গালেঙ্গ্যা, ঘেরাও, দোলিয়াম পাড়া, লামা উপজেলার গজালিয়া, ফাঁসিয়াখালী, রুপসীপাড়া, আলীকদম উপজেলার লাংদি মুরং পাড়া, কলারঝিড়ি, কাইন্দালা ঝিরি পাড়া এবং জেলা সদরের স্যারন পাড়া ও লাইলুনপি পাড়া ও বালাঘাটা এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য কমলা বাগান। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর মাটি ভালো হওয়ায় দিন দিন পাহাড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কমলা চাষ। ফলন বেশি হওয়ায় আর পোকামাকড়ের আক্রমন কম থাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কমলা চাষ।
বান্দরবানের বালাঘাটা কুহালং মৌজার চড়–ইপাড়া এলাকার কমলা চাষী মিলন কান্তি দাশ জানান, কমলা চাষে লাভ বেশি। একবার চারা লাগালেই হয়, আর বছর বছর সার দেয়া ও জঙ্গল কেটে বাগান পরিস্কার রাখলেই ভাল ফলন হয়। তিনি আরো জানান, অন্যান্য ফল চাষের চেয়ে কমলা চাষ লাভজনক ও সহজ।
চড়–ইপাড়া এলাকার কমলা চাষী মিল্কি চৌধুরী জানান, ২০০৯ সাল থেকে আমি ৫ একর জমিতে নাগপুরী কমলার চারা লাগালাম। ১ম বছর ভালো ফলন পাই এবং ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বছরে ভালো ফলন পেয়েছি। আমি এ বছর ৪৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করি। আমার দেখাদেখি আমাদের এলাকায় অনেকে এ কমলার বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছে।
বান্দরবানে নাগপুরী, খাসিয়া ও স্থানীয় জাতের কমলার চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের মতে পার্বত্য এলাকার পাহাড়ের মাটি কমলা চাষের জন্য খুবই উপযোগী, তাছাড়া এ বছর আবহওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় কমলার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। আর ভাল ফলন হওয়ায় এবং চাহিদা থাকায় বান্দরবানের উৎপাদিত কমলা এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বান্দরবান কৃষি অফিসের বøক সুপারভাইজার বাবুল ভট্টাচার্য্য জানান, আমরা কৃষকদের কমলা চাষে যথেষ্ট সাহায্য করি। কোন সময় কোন সার দিতে হবে, ফলন কখন নিতে হবে আর রোগ বালাই হলে কি করতে হবে তা সব সময় চাষীদের পরামর্শ দিয়ে থাকি ।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ওমর ফারুক জানান, দিন দিন বান্দরবানে কমলার বাগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। বান্দরবানের মাটি এসিডিক হওয়ায় কমলা চাষের জন্য বেশ ভালো, আর এখানকার কমলা সুমিষ্ট ও রসালো হয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয় কমলার চাষীরা এখন কমলা চাষে লাভবান হওয়ায় দিন দিন কমলার বাগান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বান্দরবান জেলায় এ বছর ৩ হাজার হেক্টর পাহাড়ি জমিতে কমলা আবাদের বিপরীতে উৎপাদন হয় ২৯ হাজার ১২০শত মেট্রিক টন কমলা।



 

Show all comments
  • আমিন উদ্দীন ৫ আগস্ট, ২০২০, ৭:৩২ পিএম says : 0
    আমি পাচ একর একটা বাগান তৈরি করেছি,,,,,,,,বান্দরবান লামা থানার পাশে,,,,,,আমি মালটা এবং কমলার কিছু ভাল জাতের চারা লাগবে,,,,,,,আমার আশে পাশে কোথায় পাবো,,,,,যানতে পারি কি,,,,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ