Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাংকিং লেনদেন চালুর উদ্যোগ

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকিং লেনদেন চালু করা হবে। পণ্য রফতানি ও আমদানির ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনে বর্তমান যেসব সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিগগিরই এ সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত ও তা সমাধানে রাশিয়া সরকারের সহযোগিতা চাবে বাংলাদেশ। ব্যাংকিং লেনদেন চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এছাড়া বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) দাবি করেছে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিআইএস)। সংগঠনটির মতে, এফটিএ হলে রাশিয়ায় সরাসরি পোশাক রফতানি করতে পারবেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেন চালু হলে পোশাকের সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের রফতানিও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
জানা গেছে, পণ্য রফতানিতে জিএসপি সুবিধা না থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি হয় রাশিয়ায়। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ইইউ হয়ে যায়। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার বাজারে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এ সুবিধা পেতে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তির প্রয়োজন সেটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের মোট আমদানি-রফতানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ পর্যায়ে রাশিয়াতে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি আরও বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ব্যাংকিং লেনদেন, দ্বৈতকরসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আর তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের বাজার রাশিয়া। বর্তমান প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের পোশাকের বাজার রয়েছে দেশটিতে। এছাড়া রাশিয়ার মাধ্যমে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ১১ দেশের জোট কমনওয়লেথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসের বাজারে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।
সূত্রমতে, সিআইএস জোটে ১৪ হাজার কোটি ডলারের রফতানি বাজার রয়েছে। সুযোগ রয়েছে আরমেনিয়া, বেলারুশ, কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তানকে নিয়ে রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান কাস্টমস ইউনিয়নের বাজার সুবিধা নেয়ার। সেই সুযোগটি নিশ্চিত করতে চায় সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ