বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনায় নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর হাবিবুল্লাহ হাসান ওরফে মিশু নামের এক স্কুল ছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের সিংগা এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচারের দাবিতে পাবনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্ররা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন তৈরি করে ছাত্ররা ।
নিহত হাবিবুল্লাহ জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মেহেদীনগরের মহসিন আলম সালামের পুত্র এবং পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। পাবনা শহরের জয়কালী মন্দিরের কাছে জনৈক বিশ্বনাথ কর্মকারের বাড়িতে গত ৬ মাস ধরে ভাড়া থাকতো হাবিবুল্লাহর পরিবার।
স্কুল ছাত্রের পিতা মহসিল আলম সালাম জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোচিং এ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় হাবিবুল্লাহ হাসান ওরফে মিশু। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার এক বন্ধুর মোবাইল ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে হাবিবুল্লাহ ওরফে মিশু জানায় কোচিং শেষ করে বাড়ি ফিরতে একটু দেরী হবে। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। স্কুলছাত্রের পিতা মহসিল আলম সালাম আরও জানান, তার পুত্র দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেট খেলতো আর লেখাপাড়া ছাড়া অন্য কিছুর সাথে জড়িত ছিল না। কারও সাথে কোনো ঝামেলা আছে বলেও শোনেনি। কারা কি জন্য তার পুত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের সিংগা উত্তরপাড়ার সোবাহান খাঁ’র লিচু বাগানে একটি বস্তাবন্দী লাশ দেখতে স্থানীয় লোকজন পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। থানায় গিয়ে লাশটি হাবিবুল্লাহ ওরফে মিশুর বলে সনাক্ত করেন তার স্বজনরা। কারা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়টি জানতে পারেনি পরিবার। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মিশুর লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন এখনও কোন মামলা হয়নি।
অপরদিকে, পাবনা শহরের দিলালপুর এলাকায় চৈতি রাণী কুন্ডু নামে এক যুবতীর ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামে ৭০ বছরের বৃদ্ধ সদর উদ্দিন পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ গুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।