Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষীপুরে মেঘনার তীরে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সার মজুদ

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নদীপথে পাচার করছে একটি চক্র
মো.কাউছার, লক্ষীপুর থেকে : লক্ষীপুরের কমলনগরের নাছিরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিপুল পরিমান টিএসপি সার অবৈধ ভাবে মজুদ করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে একটি চক্র মজুদকৃত এসব সার প্যাকেটজাত করে নদী পথে জাহাজে ভরে পাচার করলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসেনি।
এ চক্রের সঙ্গে কে বা কাহারা জড়িত রয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা কেউ। তবে মঙ্গলবার সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেন কমলনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে র‌্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছেছে ।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিন স্থানীয় নাছিরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে বিপুল পরিমান টিএসপি সার মজুদ রাখা হয়েছে। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০জন শ্রমিক মজুদকৃত চাকা আকৃতির সার রোদে শুকিয়ে ঝরঝরে করে বস্তায় ভরছেন শ্রমিকরা। আর ওইসব বস্তা জাহাজে ভরে নদী পথে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা বলতে পারেনি স্থানীয়রা। তবে কোথায় নিচ্ছেন কারা নিচ্ছেন তা জানাতে পারেনি কেউ। ওই মাঠে এখন প্রায় ১৫শ’ মে. টন সার মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত কয়েকদিন থেকে প্রায় ৪ হাজার বস্তা নদী পথে প্রাচার করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
শ্রমিকরা জানান, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর মোল্লা, নুরুল ইসলাম ও রব মাঝির হয়ে এখানে কাজ করছেন।
ভোলার বাসিন্দা কাঞ্চন নামের চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী এসব সার পাচারে মুলহোতা বলে সুত্রে জানা যায়।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে কাঞ্চন জানান, সাগরে দূর্ঘটনায় জাহাজ পতিত হলে, ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজ থেকে সারগুলো নদীর তীরে এনে মজুদ করা হয়। তিনি এসব সার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হবে বলে জানান। তবে বিপুল পরিমান সার ব্যাক্তিগত কি কাজে ব্যবহার হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।
কেউ কেউ বলছেন, এসব সার জাহাজে করে সাগর পথে নেয়ার সময় সার বোঝাই জাহাজ পেটে যায়। পরে মেঘনার তীরে মজুদ করা হয় ওই সার। তবে মালিকানা বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় কৃষকদের ধারনা মজুদকৃত সারগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। অথচ এসব সার ফের প্যাকেট করে বাজারে বিক্রির জন্য নদী পথে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব সার কৃষক কিনে জমিতে দিলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারনা করছেন তারা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেন কমলনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে র‌্যাব ১১এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এসময় গণমাধ্যমকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, সার মজুদ ও পাচারের বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা, এসব সার কমলনগরের জন্য বরাদ্ধের নয়, এব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ