বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নতুন বছরের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। বই হাতে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াস ছুঁয়ে যায় শিক্ষক-অভিভাবকদেরও। গত সোমবার নগরী ও জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত বই উৎসবে এ চিত্র দেখা গেছে। ২০১৮ সালের জন্য নগরীর ৬টিসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ৪ হাজার ৭২৫টি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৫১ লাখ ৩৬৬টি পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। একইভাবে মাধ্যমিকে (ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনে) নগরীসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ১ হাজার ১৬৯টি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯২ শিক্ষার্থীর হাতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫টি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
বই উৎসব উপলক্ষে নগরীর প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান। গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আরা বেগম। একইভাবে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজিয়েট স্কুলে পৃথকভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। ডা. খাস্তগীর স্কুলে বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম ফারুক। কলেজিয়েট স্কুলের বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন মাউশি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা জানান, নগরীর ৬টিসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ৪ হাজার ৭২৫টি স্কুলের ১ম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩টি এবং তৃতীয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ৬টি বিষয়ে এবার ৫১ লাখ ৩৬৬টি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়াটা সরকারের ইতিবাচক সাফল্য। এবার শতভাগ বই পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ করা হবে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বলেন, নগরীসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় ১ হাজার ১৬৯টি স্কুলের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯২ শিক্ষার্থীর হাতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫টি পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে নগরীর পতেঙ্গা বিএএফ শাহীন কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, বই উৎসবে ইংরেজি ভার্সনের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান বিষয়ের বই পায়নি। স্কুল থেকে বলা হয়, পরে এসব বই দেয়া হবে। গত বছরও ইংলিশ ভার্সনের বেশিরভাগ বই পেতে এক মাস লেগেছে। তবে নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়-বাওয়া স্কুলের একজন অভিভাবক জানান, তার সন্তান সব বই পেয়েছে। পটিয়ার শোভনদন্ডী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হামিদ হোসাইন জানান, ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানে চাহিদার ৯০ শতাংশ বই এসেছে। তবে নবম শ্রেণির গণিত ও ইংরেজি বই এবং মানবিক বিভাগের কিছু বই পাওয়া যায়নি।
হাটহাজারীর ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদরাসায় বই উৎসব অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফরাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মাদরাসার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বই উৎসবে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন একযোগে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।