Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রংপুরে শাহ কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ)-এর

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : হাদীয়ে বায়াল শাহ কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ) এর ১৪৯তম ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষ্যে বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহ্ কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ) উত্তরসুরী আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব জৌনপুরী বলেন, মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হলো তাওবা আর তাওবা ছাড়া কোন মুসলমানই কামেল মুত্তাকী হতে পারে না। মানুষ মাত্রই ভুল করবে আর সেই ভুলের জন্য সত্যিকার তাওবায়ে নাসুহা করতে পারাটাই মুমিনদের জন্য সফলতা। তবে তাওবার ক্ষেত্রে ৩টি শর্ত মানতে হবে। পূর্বের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, গুনাহ ছেড়ে দেওয়া, আর আল্লাহর সাথে ওয়াদা করা। এই শর্তগুলো মেনে কুরআন সুন্নার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহর কাছে আত্ম সমর্পণ করাই সত্যিকার তাওবা।
পীর সাহেব জৌনপুরী আরো বলেন, আজকে আমরা এমন এক অলির ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে উপস্থিত হয়েছি যার আধ্যাতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কেননা এই দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম ধাপটিই ছিল দ্বি-জাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে দেশ বিভক্তি। যে অংশে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি সেটা পাকিস্তান, আর যে অংশে হিন্দুর সংখ্যা বেশি সেটা হিন্দুস্থান। যারই ধারাবাহিকতায় ’৪৭ সালে দেশ বিভক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ’৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ’৭১ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব লাভ হয়। এখন প্রশ্ন হলো ’৪৭ সালে কীভাবে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হলো? এর জওয়াব- শাহ কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ) এর সুদীর্ঘ ৫০ বছরের দাওয়াত ও তাবলীগের ফলশ্রæতিতে ১ কোটি লোক মুসলমান হওয়ার মাধ্যমেই মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ আধ্যাতিক স্থপতি শাহ কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ)।
ইসলামী মহাসম্মেলন খাস মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন-হাদীয়ে বাঙাল (রঃ) এর অন্য আওলাদগণের মধ্যে আল্লামা হাফেজ তাইয়্যেব সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা মুফতি সাইয়্যেদ এহসান উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা আনজার সিদ্দিকী জৌনপুরী, এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রফেসর ড. ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ