Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে ফিরোজার শীতের পিঠা খেতে বড়ই মিঠা

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুরেও শীত পরার সাথে সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে গেছে। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান কাটার সাথে সাথেই এ অঞ্চলে পিঠা খাওয়ার মৌসুম শুরু হয়। সারা শীত মৌসুমটাই চলে পিঠা খাওয়ার ধুম। অবস্থা সম্পন্ন ধনী পরিবারের মধ্যে রকমারি পিঠা খাওয়া চললেও দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজনদের শীত আসলে পিঠা খাওয়ার ধুম আর হয়ে ওঠে না। রকমারি পিঠার সরঞ্জাম যেমন, চিনি, গুড়, খেজুরের পাটালী রস, দুধ ইত্যাদি অধিকত্বর মূল্য হওয়ায় তাদের পক্ষে সেগুলো কিনে পিঠে খাওয়া প্রায় স্বপ্নের মতো। কিন্তু তারপরও তাদের পিঠা খাওয়াতো বন্ধ থাকতে পারে না। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান। এসব পিঠার দোকান বসছে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এই সমস্ত ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকই হলো হতিদরিদ্র পরিবারের গৃহবধূরা। স্বচ্ছলতা ফেরাতে স্বামীর সংসারে অর্থের যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে তেল পিঠা ও ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করছে তারা। রিক্সা চালক, দিনমজুর, পথচারী ও মাদরাসার ছাত্ররাও এ সমস্ত পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা। ক্রেতারা নিজেরা খায় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও নিয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক এমন স্বচ্ছ পরিবারের সদস্য রয়েছেন যারা মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে ফেরার সময় ওই পিঠা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যান। সকাল সন্ধ্যা শহরের দারুল-উলুম-মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আধুনিক সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট, জিকরুল হক সড়ক সংলগ্ন, গোস্ত হাটি সড়ক সংলগ্ন, ১ও২ নম্বর রেল গেট সংলগ্ন, বিজলি সিমেনা হল, তামান্না সিনেমা হল ও রেলওয়ে স্টেশন মোড়ে প্রতিদিন ওই সমস্ত পিঠার দোকান বসে। শীত আসলেই ওইসব পিঠার দোকানের ওপর প্রায় ৫০০ পরিবারেরও বেশি পরিবার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
দারুল-উলুম-মাদরাসার মোড় এলাকার রিকশা চালক হাসানুরের স্ত্রী ফিরোজা জানায়, তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করে থাকেন। এ কারণে শীত মৌসুমে তাদের সংসারে অভাব একে বারেই থাকে না। ফিরোজা মূলত ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। এতে থাকে নারিকেল, খেজুর গুড় ও বাদাম এবং খেতেও স্বাদের। আর এ কারণেই সৈয়দপুর শহরের সবাই বলেন, ফিরোজার তৈরি পিঠা খেতে বড়ই মিঠা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ