Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদার টাকায় হৈহুল্লোড় খানাপিনা উচ্চ স্বরে গান

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাজনার মধ্য দিয়ে পালিত হলো থার্টি ফাস্ট নাইট
রাজশাহী ব্যুরো : হৈহুল্লোড় খানাপিনা উচ্চ স্বরে গান বাজনা রং বেরংগের বাতি দিয়ে সাজানো আর নাচানাচির মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পালিত হলো থার্টি ফাস্ট নাইট । এই দিনটিতে পুলিশের কিছু কড়াকড়ির নির্দেশনা থাকায় কোথাও কোথাও আগের রাত থেকে শুরু হয় রকমারী আয়োজনের। শেষ হয় কাল রাতে। আর এ আয়োজনে যোগানের জন্য কয়দিন ধরে নগরীতে হয়েছিলো ব্যাপক চাঁদাবাজি। তাদের দাপট এতাটাই বেশী ছিল যে চাঁদাদাতারা ছিল আতঙ্কের মধ্যে।
রাজশাহী মহানগরী ও পাড়া মহল্লার বিভিন্ন ক্লাব ও সংঘের নামে চলে ব্যাপক চাঁদাবাজি। এতে বিপাকে পড়েছিল বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মধ্য ডিসেম্বর হতে বিভিন্ন ক্লাবের নামে বেনামে দলবেধে লোকজন এসে পিকনিক করার নামে চিটি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে যায়। অনেকেই আবার মৌখিক ভাবে টাকা দাবী করে যায়। এরপর থেকেই স্বশরীরে দল বেধে বখাটে ছেলেদের নিয়ে এসে শুরু হয় চাঁদাবাজি। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ ভাংচুরেরও হুমকি দেয় তারা। হয়রানি বা মারধরের ভয়ে চাদা দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হতেই শুরু হয় বখাটেদের আনাগোনা। তারা বিভিন্ন ক্লাবের নামে এসে চিটি দিয়ে যায়। আবার দুই-তিন পার না হতে টাকা চাইতে আসে নইলে দোকান পাঠ ভাংচুর করার হুমকি দেয়। ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই একাধীক ক্লাবের নামে বিভিন্ন চাদাবাজরা এস চাদা দাবী করে।মোটা অংকের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেয়। একই রকম ভাবে সবার সমান ভাবে টাকা দেয়া সম্ভব নয়।
একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জানান, তিনি কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ গ্রæপকে চাঁদা দিয়েছেন। কেন তারা চাঁদাবাজদেরকে টাকা দিচ্ছেন এই কথার জবাবে উত্তর আসে ব্যবসা করতে হলে স্থানীয় চাঁদাবাজদের টাকা দিতে হয়। নইলে হয় দোকানপাট ভাংচুর করবে নয়তো রাস্তায় মারধর করবে। মানসম্মানের ভয়ে তাদেরকে টাকা দিতে একরকম বাধ্য হতে হয়। পুলিশ আর কয়দিন আমাদের দেখে রাখবে। তাই নিরুপায় হতে আমাদের টাকা দিতে হয়। তাছাড়াও এদের কারো কারো পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল।
শুধু ডায়াগনুস্টক সেন্টার নয়, শহরের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এভাবেই প্রকাশ্যে ক্লাবের নামে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে চাঁদাবাজি করে স্থানীয় বখাটেরা। এ বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র বলেন, নগরীতে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ