Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামিনে ম্ুিক্ত পেয়ে মুলাদীর তিন গ্রামে হত্যা মামলার আসামিদের নারকীয় তাÐব

২০ বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বরিশাল ব্যুরো : বরিশালের মুলাদী উপজেলার প্রত্যন্ত বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর ও চিঠিরচর এবং পার্শ্ববর্তী ছবিপুর ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে কমপক্ষে ২০টি বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটতরাজ করেছে সন্ত্রাসীরা। পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর উপজেলার কালকিনী উপজেলার আন্ডারচর থেকে সন্ত্রাসীরা এসে গতকাল (রোববার) সকাল সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ তাÐব চালিয়ে নিরপদেই এলাকা ত্যাগ করে। এসময় ব্যাপক বোমার বিস্ফোরণে এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যাবার পর মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও পুলিশ বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
মুলাদী থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর ও চিঠিরচর এবং পার্শ¦বর্তী ছবিপুর ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে সন্ত্রাসী তাÐবের কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মুলাদীর একটি হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে কারামুক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তবে মুলাদীর টুমচর, চিঠিরচর ও ছবিপুরে হামলার সময় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি মতিউর রহমান।
বাটামারার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম জানান, বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর আলমগীর হাওলাদার, তার ভাই দুলাল হাওলাদার, আলমগীরের ছেলে সাগর ও টগরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী তিনটি গ্রামে গতকাল সকাল থেকে ঐ তাÐব চালায়। তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী কালকীনি উপজেলার বাসিন্দা। কালকীনির আÐারচর থেকে এসে হামলা শেষে হামলাকারীরা ফের সেখানে চলে গেছে।
অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম আরো জানান, তিন গ্রামে আব্বাস সরদার, তৌহিদুল সরদার, ইউসুফ সরদার, মতলেব সরদার, নুরুল হক, জামাল সরদার, সোহাগ মাস্টার, মজিবর বালির বসত ঘরসহ কমপক্ষে ২০টি বসতঘর ভাঙচুর-লুটতরাজ করা হয়। ছবিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, হামলার নেতৃত্বদানকারী আলমগীর হাওলাদার দুটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পূর্বের একটি হত্যা মামলার ঘটনার জের ধরে আসামীরা প্রতিপক্ষ গ্রæপের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করেছে। একই সময়ে পার্শ্ববর্তী কালকিনী উপজেলাতে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে মুলাদী ও কালীকিনীর ঘটনা একই সন্ত্রাসীদের কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ