পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ
ইবতেদায়ীতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে অংশগ্রহণ, পাসের ও জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে সাফল্যের দ্যুতি ছড়িয়েছে মেয়েরা। গতবারের মতো এবারও ছাত্রদের পেছেনে ফেলে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছাত্রীরা। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতবার প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ছিল ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই দুই পরীক্ষাতেও পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। প্রাথমিকে পাসের হার বিবেচনায় ৭ বিভাগের মধ্যে গতবারের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে বরিশাল। ৬৪ জেলার মধ্যে এবার পাসের হারে শীর্ষ জেলা গোপালগঞ্জ। পাসের হারে সর্বনি¤œ সিলেট বিভাগে এবং ঝালকাঠি জেলায়। অন্যদিকে ইবতেদায়ী সমাপনীতে পাসের হারে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রাজশাহী বিভাগ। জেলার মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় পাশের হার সবচেয়ে বেশি। এই পরীক্ষা পাসের হারে সবার নিচে সিলেট বিভাগ ও ফরিদপুর জেলা। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে গতকাল (শনিবার) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে সকাল ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলাফলের কপি তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিকের ফলাফল পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় এখনকার ছেলেমেয়েদের এখন আর ভয় কাজ করে না। তারা তো পরীক্ষা দিয়ে একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে। ক্লাস ফাইভে একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে, এইটে একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে। আগের বৃত্তি পরীক্ষায় সকলের মেধার প্রকাশ ঘটত না। যে বৃত্তিটা আমরা দেব... সবাই পরীক্ষা দেবে। কোথায় যে কার মাঝে কোন মেধাটা লুকিয়ে আছে; আমরা তা জানব কী করে? প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকতে পারে না? আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে; আমাদের ছেলেমেয়েরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে এবং আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফলাফল: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ইবতেদায়ী সামাপনীতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার প্রাথমিকে কমেছে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে কমেছে একই পরিমান ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ ও ইবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার দুটি সমাপনীতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৬৩২ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন। অপরদিকে ইবতেদায়ীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩ জন।
বিস্তারিত ফলাফলে জানানো হয়, দুই সমাপনী পরীক্ষায় এবছর ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ২৮ লাখ ২ হাজার ৭১৫ জন। প্রাথমিকে মোট অংশ নিয়েছে ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ২১৬ পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ জন। অপরদিকে ইবতেদায়ীতে অংশগ্রহণ করেছে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ জন। প্রাথমিকে সর্বোচ্চ পাশের হারের দিক থেকে ৭ বিভাগের মধ্যে গতবারের মতো এবারও বরিশাল। এই বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৬৪ জেলার মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে গোপালগঞ্জ জেলা। এই জেলায় পাসের গড় ৯৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ৫০৮ উপজেলা/থানার মধ্যে ৩ উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। গত বছরের মত এবারও সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বিভাগে (পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ)। জেলার মধ্যে ঝালকাঠিতে পাসের হার সর্বনিম্ন ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাসের হার সবচেয়ে কম ৭১ দশমিক ২০ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে ৭ বিভাগের মধ্যে এবারও রাজশাহী বিভাগ পাসের হারে (পাসের হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ) শীর্ষে রয়েছে। সিলেট বিভাগে পাসের হার সর্বনিম্ন ৮৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। জেলার মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় পাসের হারে সবার সেরা (৯৯ দশমিক ০২ শতাংশ)। শতভাগ পাস করেছে এমন উপজেলার সংখ্যা ৬১টি। পাসের হারে সবার নিচে ফরিদপুর জেলা এবং চরভদ্রাসন উপজেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।