Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২০১৮ খালেদা জিয়া ও বিএনপির -মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৮ সাল হবে খালেদা জিয়া, বিএনপি, তারেক রহমান, গণমানুষ ও স্বাধীনতার সংগ্রামী মানুষদের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা আছি, লড়াই করেছি। লড়াই করে যাচ্ছি, লড়াই করব এবং ২০১৮ সালে আমরা অবশ্যই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। মির্জা ফখরুল বলেন, কথা খুব স্পষ্ট- নির্বাচন তো দিতেই হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সকল দলের অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে। অবশ্যই তা সুষ্ঠু-অবাধ হতে হবে, সেই নির্বাচন হবে; ইনশাল্লাহ সেই নির্বাচনে অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলতে চাই, ২০১৮ সাল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাল, ২০১৮ সাল বিএনপির সাল, ২০১৮ সাল তারেক রহমানের সাল, ২০১৮ সাল এদেশের গণমানুষের সাল; যারা লড়াই করে, যুদ্ধে করে এদেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছেন তাদের সাল। একাদশ নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই অংশ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাব, দেশনেত্রী নির্বাচনে যাবেন। উনারা (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ) থাকবেন না। নির্বাচনে যাওয়ার কথা বললেও তা নিরপেক্ষ সরকারেই অধীনেই হতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের বলেন, চোখ-কান খোলা রাখুন। একটা কথা আমাদেরকে সকলকে মনে রাখতে হবে, এটা রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞান; আমাদের লক্ষ্য কী? ক্ষমতায় যাওয়ার। আমরা সবসময় শুধু এখানে মিটিং করব, আর ডুগডুগি বাজাব- তার জন্য তো আসিনি। আমরা ক্ষমতায় যাব, ক্ষমতায় গিয়ে আমাদের মেহনতি মানুষের সমস্যার সমাধান করব, চাকরির ব্যবস্থা করব, আমরা দেশের উন্নয়ন করব; সেজন্য আমরা রাজনীতি করছি। এই রাজনীতির একটা বিজ্ঞান আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিজ্ঞানটা কী? সংগঠন, আন্দোলন এবং নির্বাচন। এই তিনটা জিনিস আমাদের একসাথে করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে এবং নির্বাচন করে আমাদের ক্ষমতায় যেতে হবে। এই বিষয়গুলো সকলকে মনে রাখতে হবে। ক্ষমতাসীন সরকারকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যায়িত করে তাদের হটাতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন বলে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলেও কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল তার বক্তব্য উদ্ধৃতি করে বলেন, আমার খুব ভালো লেগেছে উনি (কামাল হোসেন) এতদিনে এই কথাটা উপলব্ধি করেছেন। আমরা বরাবরই বলে আসছি যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করুন। বেগম জিয়া ডাক দিয়েছেন, জাতীয় ঐক্য দরকার। এই ভয়াবহ, ফ্যাসিস্ট, একনায়ক সরকারকে সরাতে না পারলে এই বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না।
আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। সেই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দেশ বর্তমানে ঘুষ-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে অভিযোগ বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি পত্রিকা বলছে, উন্নয়নে নামে যে একটা ধু¤্রজ্বাল সৃষ্টি করা হয়েছে সেই উন্নয়ন আসলে একটা তাসের ঘর। শিক্ষিত যুবকদের ৪৭ শতাংশ কোনো চাকরি পায় না। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। টাকা দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি পাবেন, টাকা দেবেন মেডিকেল কলেজের অনুমতি পাবেন, টাকা দেবেন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনির্ভাসিটির অনুমতি পাবেন। গুম ও টাকা- এর উপরেই এখন সবকিছু চলছে। সর্বত্র দুর্নীতি চলছে। প্রতিদিন পত্রিকায় লেখা হচ্ছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। সব দিক দিয়ে, সব স্তরে সব সেক্টরে বাংলাদেশকে ফোকলা করে ফেলেছে। এমটি... যে কলসের মধ্যে পানি নাই, শব্দ করে বেশি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদকবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদীর পরিচালনায় আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, নাজিমউদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসিম, উলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেসারুল হক এবং ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বক্তব্য রাখেন।



 

Show all comments
  • শিপন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৪:০৯ এএম says : 0
    সেটা শুধু সংবাদ সম্মেলন করে হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ