পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন পথশিশুরা তাদের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটাকা-দু’টাকা করে অর্ধকোটি টাকা সঞ্চয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তৈরি করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ৬৭১টি পথশিশুর ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন জমা রয়েছে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকারও বেশি অর্থ। ২০১৭ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে পথশিশুরা বিভিন্ন ব্যাংকে ২০ লাখ ৪১ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছে। এর আগে, এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে তাদের জমানো টাকার পরিমাণ ছিল ২৬ লাখ ৪৮ হাজার। সেপ্টেম্বরে এসে ১৮টি ব্যাংকে তাদের জমানোর টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকারও বেশি।
জানা গেছে, দেশের ১৫টি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এই পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব দেখভাল করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত নয় মাসে নতুন করে ৯৪৬ পথশিশু ব্যাংকের সেবা নিয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমন শিশুর সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৭২৫। আর চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ৬৭১টি পথশিশু ব্যাংকে লেনদেন করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নয় মার্চ ১০ টাকার বিনিময়ে পথশিশুদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তার ওই নির্দেশনার পর তিন বছরেই পথশিশুদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৬ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ জমা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। অধিকাংশ পথশিশুর কোনও অভিভাবক না থাকায় এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের অভিভাবক হয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, পথশিশুদের সবচেয়ে বেশি হিসাব খুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। এই ব্যাংকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পথশিশুদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ২১টি। আর এসব অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার পরিমাণ নয় লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ৭৬৫ জন পথশিশুর হিসাব খুলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকে পথ শিশুরা দুই লাখ ২৭ হাজার টাকা জমা করেছে। ৫৪৪ জন পথশিশুর হিসাব খুলে তৃতীয় স্থানে থাকা বেসরকারি পূবালী ব্যাংক জমা আছে তিন লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে যে ১৫টি এনজিও পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব দেখভাল করছে। এই এনজিওগুলো হলো— মাসাস, সাফ, উদ্দীপন, অপরাজেয় বাংলাদেশ, ব্র্যাক, নারী মৈত্রী, সিপিডি, প্রদীপন, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এএসডি, শক্তি বিদ্যালয়, ইবিসিআর প্রকল্প, মানব সেবা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফার আনপ্রিভিলিজেড ফ্যামিলি ও পরিবর্তন।
এর আগে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকভাবে ১০টি ব্যাংক পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব খোলার দায়িত্ব নেয়। পরে আরও আটটি ব্যাংক এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এগুলো হলো-সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।