Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারীকে দিগম্বর, ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ তদন্তেরনির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো: শামসুল আলম খান ময়মনসিংহ থেকে : গরু চুরির অভিযোগে এক নারীকে দিগম্বর করে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

ভুক্তভোগী ঝর্ণা বেগম (৪০) এ মামলাটি দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং ৫নং আমলী আদালতের পেশকার বদরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ আগষ্ট দুপুরে উপজেলার ধুরাইল বাজারে সিরাজুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে ঝর্ণা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে পুলিশ তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু ঝর্ণা টাকা দিতে না পারায় সেদিন রাতে তাকে ওসি’র কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ও স্থানীয় ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন তাকে দিগম্বর করে শারীরিক নির্যাতন করেন।
একই কায়দায় পরের দিনও তাকে নির্যাতন করা হয়। পরে ১৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তার বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট ও ফুলপুর থানায় ৪ টি গরু চুরির মামলা দায়ের করে। প্রায় চার মাস কারাভোগ শেষে গত ৪ ডিসেম্বর জামিনে বের হয়ে আসেন ঝর্ণা বেগম।
এরপর ২১ ডিসেম্বর নির্যাতনের অভিযোগ এনে তিনি হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া, স্থানীয় ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার ৫নং আমলী আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদ অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, ঝর্ণা বেগমের নেতৃত্বোধীন গ্রæপ হালুয়াঘাট ও ফুলপুরে ৬ টি গরু চুরি করেছে। তার বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় ৩ টি ও ফুলপুর মামলায় ১টি গরু চুরি মামলা রয়েছে।
থানায় তাকে দিগম্বর করে নির্যাতনের কোন প্রশ্নই উঠে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তিনি এ অভিযোগ করেছেন দাবি করেন ওসি।
আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। আদালতের নির্দেশনার কথা শুনেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ