Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের মানববন্ধন

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চারদফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।
চারদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০% মাঠ-ভ্রমণ ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা, প্রতি ৬ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ প্রদানের নিশ্চিত ও ১০% পোষ্য কোটা প্রর্বতন করা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এনায়েত রাব্বির লিটন, সদস্য সচিব মোর্শেদ আলম, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফাহিম ছিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর নবী ও দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য জিয়ার রহমান কাবুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন জেলা,উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ কয়ের হাজার স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচী পালন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস,য²া, ধনুষ্টংকার, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ, অন্ধত্ব দূরীকরণসহ তৃণমূল পর্যায়ে সফল ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া গুটি বসন্ত,পোলিও নির্মূল তথা পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য খাতের বৃহৎ কর্মসূচি এমআর ক্যাম্পেইন সফলভাবে সমাপ্ত করেছে। তাদের ইপিআই কার্যক্রমের ফলে দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার ১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালুতে সরকারি নির্দেশে স্থান নির্বাচন, স্থানীয় জনগণ হতে বিনামূল্যে জমিদানে উদ্ধুদ্ধকরণ, নির্মাণ তদারকিসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বর্তমান সরকারের সফল ও স্বার্থক উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিককে গ্রামীণ জনগণের দোর গোড়ায় সহজলভ্য সেবার মডেল কর্মসূচিতে পরিণত করেছে। যার ফলে কম খরচে অধিক সেবা প্রাপ্তির মডেল দেশে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের সফলতা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের ফসল হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এমডিজি, সাউথ সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ টিকাদানকারী দেশের স্বীকৃতি অর্জন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার টিকাদানে শ্রেষ্ঠত্ব এবং পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে জাইকা কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্তিতে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশী বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজগুলো টেকনিক্যালধর্মী হলেও দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি করে এলেও সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় পদমর্যাদাসহ চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য সহকারীদের মহাসমাবেশে পদ-মর্যাদাসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, অর্থ, জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কমিটির অনুকূল সিদ্ধান্ত থাকা সত্বেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য তারা স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০% মাঠ ভাতা, ঝুকি ভাতা ও ভ্রমণ ভাতা, প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ প্রদানের নিশ্চিত ও ১০% পোষ্য কোটা প্রর্বতন করাসহ চার দফা দাবি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানান। তা না করা হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইপিআইসহ সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ