Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশিয়ানীতে অনিয়মের অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : অনিয়মের অভিযোগে প্রার্থীদের তোপের মুখে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি লংঘন করে অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এমন অভিযোগ এনে প্রার্থীরা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিয়োগ পরীক্ষা বয়কট করেন। পরে বাধ্য হয়েই নিয়োগ বোর্ড নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়।

অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী মোঃ ফায়েকুজ্জামান জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগবিধি অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ অবসর গ্রহণ করার পর অধ্যক্ষের পদ শূন্য হবে। সেখানে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক বা উপাধ্যক্ষকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেবেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
অপর প্রার্থী মোঃ শফিকুজ্জামান বলেন, রাজপাট কলেজের অধ্যক্ষ সুকৃতি মজুমদারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। তার পদটি শূন্য হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। পদটি শূন্য হওয়ার আগেই তিনি নিয়োগ বিধি লংঘন করে অধ্যক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব অনুমতি না নিয়ে গত ৬ নভেম্বর ২টি জাতীয় দৈনিকে অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে অধ্যক্ষ পদের জন্য অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করতে বলা হয়। এ পদে ১৯ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে ৬ জনের আবেদন ত্রæটিজনিত কারণে বাতিল করা হয়। ১৩ জনের আবেদন বৈধ ঘোষণা করা হয়। পছন্দের প্রার্থী কলেজের সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র মিস্ত্রীকে নিয়োগ পাইয়ে দিতেই অধ্যক্ষ সুকৃতি নিয়োগ বিধি লংঘন করেছেন। গোবিন্দ চন্দ্র মিস্ত্রীর কাছ থেকে অধ্যক্ষ মোটা অংকের টাকা নিয়ে এ কাজ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে জানতে পারি কলেজের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র মিস্ত্রীকে নিয়োগ দিতেই এ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। পরে আমরা ১২ জন প্রার্থী এক হয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বয়কট করি।
কলেজ পরিচালনা পর্যদের সদস্য ও রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, আমরা মনে করি বেসরকারি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সর্বক্ষমতার অধিকারী। তাই অধ্যক্ষের পদ শূন্য হওয়ার আগেই আমরা আমাদের মতো রেজুলেশন করে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এখানে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি আমরা অনুসরণ করিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের সম্পাদক সুকৃতি মজুমদার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের কথা অস্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য নয়, অধ্যক্ষ নির্বাচন করার জন্য এ প্রক্রিয়া করেছিলাম। এ প্রক্রিয়া বিধি মোতোবেক হয়নি অভিযোগ এনে প্রার্থীরা পরীক্ষা বয়কট করেন। পরে নিয়োগ বোর্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক দুলাল কান্তি ভৌমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি সরকারি এসকে কলেজের অধ্যক্ষ আবুবকর ছিদ্দিক নিয়োগ পরীক্ষা স্থাগিত করেন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ