Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাঙা কালভার্টের কারণে চরম ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের ভেটি-মাধাইমুড়ি কাঁচা সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে অত্র এলাকার ৮টি গ্রামের লোকজন। কালভার্টটি ভেঙে প্রায় এক বৎসর পার হলেও দেখার কেউ নেই। বালির বস্তা দিয়ে কোন রকমে লোকজন চলাফেরা করলেও কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভেটি-মাধাইমুড়ি রাস্তা দিয়ে ছাতারদিঘী, অলংকারদিঘী, গুচিয়াগাড়ী, বেলঘড়িয়া, মাধাইমুড়ি, আগনাগাড়ী, দামকুড়ি ও আদগোলা গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক লোক চলাফেরা করে। এখানকার ভ্যান, অটোরিক্্রা, মোটরসাইকেল, ভটভটি ও অন্যান্য যানবাহনগুলো বালির বস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটি পার হচ্ছে। ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এই গ্রাম গুলোর অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবি। ভাঙা কালভার্টের কারণে তাদের উৎপাদিত ফসল নায্যমূল্যে বিক্রয় করতে পারছে না। ফলে ফসল উৎপাদন করে ভাঙা কালভার্টের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় বছর খানেক ধরে। এসব গ্রামবাসির দাবি দ্রæত ভাঙা কালভার্টটি নতুন করে তৈরী করা হউক এবং ভেটি থেকে গুচিয়াগাড়ী পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হউক।
অলংকার দিঘী গ্রামের সোলায়মান, মোফাজ্জল হোসেন খোকা, সেকেন্দার আলী জানান, এই এলাকার সবচেয়ে বড় বাজার আবাদপুকুর হাট। এই হাটেই আমাদের ধান, চাল, আলু, গমসহ যাবতীয় কৃষিপন্য বিক্রয় করতে হয়। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আমরা প্রায় এক বছর যাবত ধান-চালে নায্যমূল্য পাচ্ছি না। গত বর্ষা মৌসুমী ইরির ধান প্রতি মনে ৫০-৭০টাকা কম দামে বিক্রয় করতে হয়েছে। কোন গাড়ি আমাদের গ্রামে আসে না। গুচিয়াগাড়ী গ্রামের নূর মোহাম্মদ, শরিফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম রতন জানান, গুচিয়াগাড়ী থেকে ভেটির দুরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। এই রাস্তাটা কাঁচা রয়েছে। তার উপর ভেটির কাছে কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা পড়েছি মহা বিপদে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার প্রায় ৭/৮টি গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে। খুব দ্রæত কালভার্টটি তৈরী ও কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি জানান। এ ব্যাপারে কালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু জানান, জনদূর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করেই ভেটি-মাধাইমুড়ি রাস্তার ভাঙ্গা কালভার্টটি নতুন করে তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই নতুন কালভার্টের কাজ শুরু হবে। কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের ব্যাপারে তিনি জানান, পরবর্তী বরাদ্দ পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই রাস্তা পাকাকরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ