বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আতাউর রহমান ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) থেকে : মুসলমানরা বীরের জাতি, মুসলমানরা আমেরিকা, রাশিয়া, ভারতকে ভয় করতে পারেনা। মুসলামনরা কোন শয়তান, নাস্তিক্যবাদি, মুরতাদদের সামনে এমনকি পারমানবিক অস্ত্রের সামনে জীবন উৎসর্গ করতে পারে কিন্তু মাথানত করতে পারে না। যদি মসজিদুল আকসার দিকে কু-দৃষ্টিতে থাকানো হয় তবে সেই চোখ থাকবে না। যদি হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে সেই হাত ভেঙ্গে ফেলা হবে। যেসব রাষ্ট্রে মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা হউক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গালাহার দারুল কোরআন মাদরাসার ইসলামি মহা সম্মেলনে কথা গুলো বলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ।
তিনি আরো বলেন,আজ আমরা ভীরুকাপুরুষে পরিণত হয়েছি। বার্মায় মুসলমানদের বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে, উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা দেশে দেশে নির্যাতিত হচ্ছি, নিপীড় হচ্ছি, লাশ হচ্ছি, মার খাচ্ছি । আমরা মুসলমান কিন্তু আমরা মোমিন হতে পারিনি। আজ আমরা যদি মোমিন হতাম তাহলে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নাস্তিকরা আঙ্গল তুলতে সাহস দেখাতো না। আমরা যদি মোমিন হতাম তাহলে সমাজে ধর্ষণ, ব্যহায়াপনা, অশ্লীলতা হতে পারতো না। আমরা কোন অন্যায় করতাম না। আজ জেহাদ শব্দকে সন্ত্রাসী শব্দের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। জেহাদ সন্ত্রাস করার জন্যে নয়। জেহাদ এসেছে সন্ত্রাস নির্মুল করার জেন্য।
তিনি আরো বরেন,আমি মুসলমান। নিজেকে মোমিন দাবি করি। কিন্তু আমি ঘোষ খাই, নারী নির্যাতন করি, জুলুম করি, অত্যাচার করি, সন্ত্রাস করি তাহলে মোমিন তো দূরের কথা আমার তো মুসলমানীই থাকেনা। আমি যদি মোমিন হতাম তাহলে, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, সন্ত্রাস, লুটতরাজ, ঘুম, খুন করতে পারতাম না। আমাদের মধ্যে যদি বিশ্বাস থাকতো যে, একদিন মহান আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে। সমস্ত কর্মের হিসেব দিতে হবে। হযরত মুহাম্মদ (স) এর সাফায়েত দরকার হবে তাহলে সমস্ত অন্যায় বর্জন করতাম।
তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা রাস্তায় নারী দেখলে ইভটেজিং করো, অবমাননাকর উক্তি করে বিব্রত কর, ওড়না ধরে টানদেও। কারণ তুমরা মনে করো এটি তোমার বাবা দেখেনি, মা দেখেনি। তবে আজ থেকে শুনে রাখ এটি তুমার বাবা, মা না দেখলেও একজন দেখেন তিনি হলেন তোমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ।
সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে অনান্যদের মধ্যে ভারত থেকে আসা আল্লামা সাইয়্যিদ আজহার মাদানীসহ দেশ্যের প্রখ্যাত আলেমরা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শেষাংশে মাদ্রাসার ৮জন কোরআনে হাফেজের মাথায় পাগরী পড়িয়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।