Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশাল মহানগরের কর্মীসভায় ক্ষোভ, বিএনপি মাঠের রাজনীতি হারিয়ে ফেলেছে

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বরিশাল ব্যুরো : বিএনপি মাঠের রাজনীতি হারিয়ে ফেলেছে। এক শ্রেণীর নেতাকর্মী আন্দোলন-সংগ্রামের নামে ফটোসেশন ও সেলফির রাজনীতি করছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। জেলা-উপজেলা কমিটির নেতারা দল পরিচালনায় ব্যর্থ হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাদের কোন জবাবদিহীতা নেই। চাটুকদারদের পদায়ন করা হয়, কিন্তু মুল্যায়ন করা হয়না দলের জন্য জেল-জুলুম ভোগ করা নেতাকর্মীদের। গতকাল বুধবার বরিশাল মহানগর বিএনপির কর্মীসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন।
গতকাল বরিশাল মহনগরীর টাউন হলে অনুষ্ঠিত দলীয় কর্মীসভায় প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এর উপস্থিতিতে এসব বক্তব্য উঠে আসে। দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে একই স্থানে বিকালে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মীসভাও অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগরের কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বক্তৃতা করার আগে স্থানীয় বেশ কিছু নেতা বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলের প্রার্থী মনোনয়নের আগে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত নেওয়ার দাবি জানান। এসময় কয়েকজন বক্তা মঞ্চে বসা মেয়র আহসান হাবীব কামালকে ইঙ্গিত করে বলেন, কিছু কিছু নেতা নির্বাচন এলে বসন্তের কোকিলের মতো এসে দলের রাজনীততে সক্রিয় হন। দক্ষিণ জেলার সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন বলেন, মেয়র কামাল মঞ্চে বসা আছেন। তাকে নিয়ে মঞ্চের সামনে বসা মাঠের কর্মীদের অনেক কথা বলার আছে। তারা বক্তৃতা করার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের পক্ষ হয়ে আমি বলছি, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের আগে মাঠের কর্মীদের মতামত নিবেন। প্রায় অভিন্ন সুরে কথা বলেন বেশীরভাগ বক্তাই। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার সহ কয়েকজন বক্তা বলেন, বিএনপির মূল চালিকাশক্তি হলো ছাত্রদল। অথচ ২০১০ সাল থেকে বরিশালে ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কোন কমিটি নেই। ফলে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরী হচ্ছেনা।
সভার সভাপতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হলে দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, দুঃসাহস নেবেন না, তার ফল ভাল হবেনা। ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সাল এক নয়। মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করা হলে ওই নির্বাচনে করতে দেওয়া হবেনা। দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে বক্তাদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় গিয়ে মহাসচিব সহ নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে দলের স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন।
কর্মীসভায় অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, উত্তর জেলা সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, নগর বিএনপির মনিরুজ্জামান ফারুখ, সহ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন ও যুবদলের আক্তারুজ্জামান শামীম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ