Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোয়ালখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় কোটি টাকার অবৈধ লটারি, নীরব প্রশাসন

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শতাধিক লটারির মাইকের আওয়াজে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, তোপের মুখে প্রশাসন
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় সংলগ্ন চলমান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ লটারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি, লাঞ্চিত ও মারধরসহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, শ্রমিকলীগের উপজেলার সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। আবারো বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। এব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব দিলেও কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় গতকাল ২৭ ডিসেম্বরের উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় তোপের মুখে পড়েন স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর থেকে ১২দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় কোটি টাকার অবৈধ লটারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে মেলার আয়োজক এবং আওয়ামীলীগ অঙ্গ-সংঘটনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংর্ঘষ ও পাল্টা-পাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ম দিনে সকালে প্রায় শতাধিক মোটর রিক্সা ও সিএনজি টেক্সিতে লাগানো অবৈধ লটারির প্রচারের মাইকিং করতে বের হলে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে থমকে যায়। একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান আওয়ামী পরিবারের অপর পক্ষের হাতে মারধর ও লাঞ্ছিত হন। পরের দিন ২০ ডিসেম্বর কোটি টাকার ভাগবাটোয়ারা ও অবৈধ লটারি বন্ধ করতে গিয়ে শ্রমিকলীগ ও মেলা আয়োজকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় শ্রমিকলীগের উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদার গুরুতর আহত হন। সংঘটিত ঘটনার পর উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
গত ২৭ ডিসেম্বর বোয়ালখালী উপজেলা মাসিক আইনশৃংখলা বিষয়ক সভায় চলমান বিজয় মেলার আয়োজকদের কয়েকজন ছাপাই বক্তব্য দিলেও এ কোটি টাকার অবৈধ লটারি, জুয়া ও নগ্ননৃত্য’র বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ সভায় চলমান লটারি-জুয়া আদৌ কি বৈধ না অবৈধ এর জবাব দিতে পারেননি ওসি-ইউএনও সহ কেউই। মেলার আয়োজকদের মধ্যে মেলা উদযাপন পরিষদের উপ-কমিটির সমন্বয়কারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, এ মেলার দায়িত্বে আমরা বর্তমানে নেই। কারা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মেলা ও লটারি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তবে কাদের কাছে দেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি তাদের নাম জানাতে অস্বীকার করেন।
মেলা কমিটিরি মহাসচিব ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জহিরুল আলম জাহাঙ্গির অবৈধ লটারির ব্যাপারে মূখ খুলতে রাজি নয়। বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুবুল আলম আকন্দ বলেন, ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, তাই লটারি বৈধ কি অবৈধ সেটা আমি বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে ইউএনও আছিয়া খাতুন জানান, মেলা বা লটারি নিয়ে সংগঠিত ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু শুনিনি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি জানি এবং স্থানীয় ইউএনওকে বলেছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ