অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই দশমিক ৬২ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও দুই দশমিক ৯৫ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতের রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৩ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কাঁচা চামড়া রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল নয় কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে আট কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে কাঁচা চামড়া রফতানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায়ও চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কাঁচা চামড়ার রফতানি আয় ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে।
সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে এ খাতের পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ কোটি হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রফতানি আয় দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নয় দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রফতানি আয় আট দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৩ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।