Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চার শর্তে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত

গণশিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন স্থগিত করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনশন ভাঙান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী। চার শর্তে আমরণ অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা।
এর আগে বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরই এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্য তপন কুমার মন্ডল। যেসব শর্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে, সে গুলো হচ্ছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড স্থগিত, নতুনভাবে একসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল, তা দূরীকরণ করা হবে। প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের একটি কমিটি দফতরে দফতরে (প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক) গিয়ে শিক্ষকদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন। বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত তিন দিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা আমরণ অনশন করছিলেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সহকারী শিক্ষকদের আটটি সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।
সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শরবত খেয়ে অনশন ভাঙেন। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষক দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে এসে যোগ দেন অনশন কর্মসূচিতে। তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ রাখা হয়। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষকদের

১৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ