Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অযত্নে অবহেলায় ঠান্ডাছড়ি পিকনিক স্পট

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী : ভ্রমণ পিপাসুদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০১১ সালের তৎকালীন সিটি সদ্য প্রয়াত মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওর্য়াডের পশ্চিমে ১৫ একর পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলে ঠান্ডাছড়ি নামে একটি পিকনিক স্পট।
বিগত কয়েক বছর ধরে ওই পিকনিক স্পটটিতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা ওই স্পটটির প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলেও বর্তমানে এটি অযতেœ অবহেলার মধ্যে পড়ে আছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন তদারকি না থাকায় পিকনিক স্পটটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই স্পটটি এখন বখাটে যুকদের রমরমা মদ-গাজার আসরে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামলে ওই এলাকাটিতে নেশাগ্রস্থদের মতলামিতে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি এই পিকনিক স্পটটিতে ঢাক ঢোল আর বাদ্য বাজনা বাজিয়ে চারিদিকে ঘেরা উঁচু নিচু পাহাড় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে ভিড় করত।
২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল উপজেলার এই ঠান্ডাছড়ির পিকনিক স্পট করা হলেও পর্যটকদের দেখার মতো দৃষ্টি নন্দন আরো অনেক কিছু থাকার কথা থাকলেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারলে প্রতি বছর শীত ও পিকনিক মৌসুমে পর্যটকদের ভ্রমনান্দের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাত লাভবান হতো। সরকারের কিছু অর্থ এই পর্যটন খাতে ব্যয় করা হলে পরিবর্তী বিপুল অংকের রাজস্ব সরকারে কোষাগারে যাবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম অক্সিজেন মোড় হতে দক্ষিণে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে ১০/১২ কিলোমিটার চৌধুরী হাট এসে ফতেয়াবাদ কলেজ রোড দিয়ে সোজা পশ্চিমে সিএনজি/ প্রাইভেট কার যোগে ঠান্ডাছাড়ি রিসোর্ট পিকনিক স্পট বা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া সহজ। হাটহাজারী উপজেলাতে গড়ে উঠা এই পর্যটন এলাকাকে আরো উন্নত ও সুন্দর স্পট গড়ে তুলতে পারলে সেখানে দেশের বিভিন্ন পর্যটকরা প্রতি মৌসুমে বেড়াতে আসবে এবং সরকারও লাভবান হবে। উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোঃ শাহাজাহান সরকারের পক্ষ থেকে ঠান্ডাছড়ির এই পর্যটন স্পটে কিছু অর্থ ব্যয় করে অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করলে কোটি টাকা প্রতি বছর আয় হবে সরকারের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ