Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিম জাতির রূহানী চেতনা ও কাগতিয়ার ঐতিহাসিক কনফারেন্স -আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অন্ধকার যুগের ঘোর অমানিশা দূর করার জন্য মহান আল্লাহ উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রেরণ করেছেন তাঁর হাবিব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামাকে। যাঁর আলোতে আলোকিত হয়েছে সারা কায়িনাত তথা সৃষ্টিকুল। বহুত্ববাদ, পশুত্ববাদ, মানবতাহীন আরব সমাজ ইসলামের আলো দিয়ে আলোকিত করে প্রতিষ্ঠা করেছেন একত্ববাদ, মনুষ্যত্ববাদ। ব্যক্তিজীবন থেকে আন্তর্জাতিক জীবন, দোলনা থেকে কবর, কবর থেকে জান্নাতে প্রবেশের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মানবজাতির জন্য রেখে গেছেন রাহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহর পয়গাম নিয়ে তিনি এমন একটি সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বাধুনিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহও সন্তুষ্ট, সৃষ্টিজগতও সন্তুষ্ট। তাই আল্লাহ বার বার বলেছেন, “কথায়, কাজে, আদর্শে, এমনকি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার হাবীব (দঃ)-কে অনুসরণ কর, অনুকরণ কর।” নবীজী মানবগোষ্ঠীর জন্য রেখে গেলেন মহাগ্রন্থ আল-কোরআন ও পবিত্র সুন্নাহ্, যা আঁকড়ে ধরলে গোমরাহ হবে না কখনো মুসলিম উম্মাহ্। তবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সতর্ক করে দিয়েছেন যে, মানবজাতির এক মহাশত্রæ হলো শয়তান। সে তার মানুষ ও জিন অনুসারি দিয়ে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যায় মানবজাতিকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নিলর্জ্জতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, ইভটিজিং, অবৈধ প্রেম ইত্যাদি শয়তানের নব নব আবিষ্কার। এসব শয়তানি কর্মকাÐ থেকে রেহাই পেতে চর্চা করতে হবে কুরআন-সুন্নাহ্, গড়তে হবে কুরআন-সুন্নাহ্ভিত্তিক জীবন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে নবীজীর আদর্শ, গ্রহণ করতে হবে নবীজীর প্রকৃত উত্তরসূরীদের ছোহবত। যাঁদের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত হলো কাগতিয়া দরবার শরীফের মরহুম প্রতিষ্ঠাতা। যিনি ডাক দিয়েছিলেন, ‘হে যুবক! নামাজ পড়, রোজা রাখ, নবী কারীম (দঃ)’র উপর দরূদ পড়, মাতৃভূমি শান্ত কর’। এ মহান দায়িত্ব নিয়ে তিনি নেমে পড়েছিলেন তরিক্বতের ময়দানে। হাজার হাজার যুব সমাজ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আল্লাহর হুকুম পালন করতে থাকেন নামাজ, রোজা, জিকির, তাহাজ্জুদ, মোরাকাবা, দরূদে মোস্তফা (দঃ) ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এ মনীষী দেশ-জাতির কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন অনেক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসা, মসজিদ, হিফ্জখানা, মুসাফিরখানাসহ মানবকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান তিনি রেখে গেছেন। যা তাঁর একমাত্র প্রতিনিধি শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী নিজের শ্রম, মেধা, ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পরিচালনা করছেন। যিনি একদিকে রূহানী কার্যাবলী, অন্যদিকে মানবকল্যাণে নিজের মূল্যবান জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আজ বিশ^ব্যাপী মুসলিম জাতির যে ক্রান্তিকাল, বিশেষ করে মিয়ানমার ও ফিলিস্তিন মুসলিম ভাই-বোনদের উপর ইহুদী ও সু চি সন্ত্রাসীদের যে অত্যাচার, নির্যাতন চলছে এমন পরিস্থিতিতে কাগতিয়া দরবার শরীফের মরহুম প্রতিষ্ঠাতার রেখে যাওয়া তরিক্বতের বড়ই প্রয়োজন এবং এ তরিক্বতের কাÐরী শায়খ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ আহমাদীর ছোহবত গ্রহণ সময়ের দাবি। তাই, আসুন, হে ভাইয়েরা, আজ (সোমবার) চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফের ঐতিহাসিক কনফারেন্সে উপস্থিত হয়ে নবীজীর জীবনাদর্শ অনুশীলন করি, কুরআন-সুন্নাহ্ভিত্তিক তরিক্বতের চর্চা করি, নবীজীর শান-মানের বর্ণনা শুনি, মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস দখলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠি। ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে রূহানী ও আধ্যাত্মিক বিপ্লব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ কনফারেন্স যুগোপযোগী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
(লেখকঃ মুহাদ্দিস, কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসা, রাউজান, চট্টগ্রাম, শধমধঃরধসধফৎধংধয@মসধরষ.পড়স)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ