Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হাতিয়ায় সাত লক্ষাধিক অধিবাসীর প্রাণের দাবি নদী ভাঙন রোধ

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নোয়াখালী ব্যুরো : হাতিয়া মূল ভূখন্ডের বিশাল এলাকা মেঘনা নদীবক্ষে বিলীন হচ্ছে। হাতিয়ার বিখ্যাত পূরাতন শহর, হরণী, চাঁনন্দী ও সুখচর ইউনিয়নের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। গত দুই দশকে সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নের ৯৫ শতাংশ তলিয়ে গেছে। এবার মেঘনার করাল গ্রসে নিমজ্জিত হচ্ছে চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল এবং চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চল। অপরদিকে জাহাজমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমে মোক্তারিয়া ঘাট এলাকা দ্রæতগতিতে ভাঙছে। ১৯৮৯ সালে হাতিয়ার নলচিরা বাথানখালী থেকে আফাজিয়া বাজারের দূরত্ব ছিল আট কিলোমিটার। বর্তমানে আফাজিয়া বাজার এলাকায় ভাঙন চলছে। আফাজিয়ার ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদটি ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে। উল্লেখ্য, হাতিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন, রাজনীতিবিদ এবং সাবেক এমএনএ মরহুম মাওলানা এ, এইচ,এম আবদুল হাই ১৯৭৮ সালে আফাজিয়া জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
গত এক দশকে হাতিয়া মূল ভূখন্ডের ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তেমনিভাবে মেঘনার ওপারে হাতিয়া উপজেলার হরনী ও চাঁনন্দী ইউনয়নে গত পাঁচ বছরে অন্তত ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়েছে। উল্লেখ্য, হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমস্যা হচ্ছে নদী ভাঙন। ফলে উত্তাল ও খর¯্রােত মেঘনার দয়ার উপর নির্ভর করছে হাতিয়া মূল ভূখন্ড ও লাখ লাখ অধিবাসীর ভবিষ্যত।
নদী ভাঙন রোধ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস ইনকিলাবকে জানান, আমি ২০১৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি ডিও লেটার প্রেরণ করি। যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে হাতিয়া উপজেলার নলচিরা, সুখচর, চরঈশ্বর, হরনী ও চাঁনন্দী ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার বøকবাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ২টি বিভাগ গত হাতিয়ায় জরীপ চালিয়ে ২টি ডিপিপি প্রস্তুত করে। এরমধ্যে হরণী ও চানন্দীতে ১০৭ কোটি টাকা এবং সুখচর, নলচিরা ও চরঈশ্বর ডিপিপিতে ৩৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বরাদ্দ পাওয়া গেলে বøক বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর এতে করে হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এদিকে গত শনিবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া হাতিয়া উপজেলা সফরকালে স্থানীয় এমপি আয়েশা ফেরদৌস বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। পরে ডেপুটি স্পীকার এবিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ