Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বময় ইসলামের জাগরণ : সর্বপ্রথম মুসলমানরাই আমেরিকা আবিষ্কার করেন

প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাফেজ ফজলুল হক শাহ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
প্রশান্ত মহাসাগর (চধপরভরপ ঙপবধহ) পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এর আয়তন ১৬৯.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। ভূমধ্য রেখা একে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ভাগ করেছে। এ মহাসাগরে মোট দ্বীপের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ আগ্নেয়গিরি এ মহাসাগরে অবস্থিত। এটি দক্ষিণে অ্যান্টার্কটিকা পর্যন্ত বিস্তৃত, পশ্চিমে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ঘেরা এবং এর পূর্বে রয়েছে উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরে রয়েছে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নৌ রুট ও বন্দর। এর মধ্যে সানফ্রান্সিসকো ও লসঅ্যাঞ্জিলেস অন্যতম।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : মারাজাল বাহরাইনে ইয়াল তাকিয়ান
“দুটি সাগর পাশাপাশি প্রবাহিত।” অর্থাৎ আটলান্টিক মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দুটি একত্রে পাশাপাশিভাবে প্রবাহিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন : বাইনা হুমা বারযাখুল্লা ইয়াব গিয়ান
“সাগরদ্বয়ের মধ্যভাগে রয়েছে একটি অলঙ্ঘনীয় বাধার প্রচীর। যাকে অতিক্রম করে এক দরিয়ার পানি অপর দরিয়ার সাথে মিশ্রিত হয় না।” অর্থাৎ এ আটলান্টিক মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে যে অলঙ্ঘনীয় বাধার প্রাচীর রয়েছে যাকে অতিক্রম করে দুই দরিয়ার পানি মিশ্রত হতে পারে না। সেই দুর্ভোধ্য প্রাচীরটি হল উত্তর মেরু হতে দক্ষিণ মেরুর নিকটবর্তী অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ইয়াখরুজু মিন হুমাল লুলু ওয়াল মারজান “উভয় দরিয়া হতে উৎপন্ন হয় মতি ও প্রবাল।” অর্থাৎ এটা বিশ্বময় স্বীকৃত যে, আটলান্টিক মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরই হল মতি ও প্রবাল আহরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র। উপরোল্লিখিত আয়াত সমূহ এবং তার শেষোক্ত ব্যাখ্যার সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য মুসলিম নাবিকগণ অষ্টম শতাব্দীর চতুর্দশকে কোন এক সময়ে তাদের নৌবহর আটলান্টিক মহাসাগরের তরঙ্গায়িত জলধারা পাড়ি দিতে থাকে। একদিন তারা দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল উপকূলের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে পৌঁছে। দ্বীপটির শোভা ও সৌন্দর্য আল-মারাকার (আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের) মত হওয়ার কারণে মুসলিম নাবিকগণ দ্বীপটির নামকরণ করেন “আল-মারাকা”। এখনও সে দ্বীপটি মুসলমানদের অম্লান স্মৃতির অমর সাক্ষী হিসেবে এ নামেই অভিহিত হয়।
অষ্টম শতাব্দীতে মুসলিম নাবিকগণ কর্তৃক আল-মারাকা আবিষ্কৃত হওয়ার পর হতেই মুসলমানগণ বসতি স্থাপন করেন। সেখানে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম উপনিবেশ। কিন্তু আমেরিকার যাত্রাপথ দূরবর্তী, শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল হওয়ায় মুসলমানগণ ভারত ও স্পেনের মত প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে নেবার চিন্তাভাবনা করেননি। তবে ব্যবসা বাণিজ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনে মুসলমানগণ আমেরিকায় যাতায়াত করতেন। মুসলমানদের দেখাদেখি এ দ্বীপে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন জাতির আগমন ঘটতে থাকে। চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ লগ্নে ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকার সন্ধান পেলে সেখানে স্পেনীয় উপনিবেশ গড়ে উঠে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্পেন থেকে মুসলমানদের উৎখাত করার পর স্পেনের নরখাদক রাজা ফার্ডিন্যান্ড এবং রাণী ইসাবেলার প্রত্যক্ষ সহায়তায় আমেরিকা থেকেও মুসলমানদের চরম অন্যায়ভাবে বিতাড়িত করা হয়। আর মূলত এভাবেই একদিন যুগের ঘূর্ণনে আমেরিকা মুসলমানশূন্য হয়ে পড়ে। মুসলমানদের আবিষ্কৃত রাজ্য হয় খৃষ্ট জগতের স্বর্গরাজ্য। যা এখন গোটা পৃথিবীকে চোখ রাঙ্গিয়ে দেখে।
কলম্বাসের প্রথম অবতরণ
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ (ইধযধসধং) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বে কিউবা ও হিস্পানিওলা দ্বীপের উত্তরে অবস্থিত প্রায় ৭০০টি দ্বীপ ও সহস্রাধিক “কী” (পধু এক ধরনের ক্ষুদ্র বালুময় দ্বীপ) নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এর অবস্থান, জলবায়ু ও ভৌগোলিক সীমারেখা এটিকে পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত করেছে। উপসাগরীয় স্রোতের মোহনায় অবস্থিত হওয়ায় সারা বছর এখানকার আবহাওয়া উষ্ণ-শীতল। এখানে নীল সমুদ্রের পাশে অনেক নয়নাভিরাম সৈকত ও বন্দর রয়েছে। ডরশরঢ়বফরধ -য় প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটা প্রমাণিত যে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯২ সালে যখন আমেরিকায় আসেন তখন যে স্থানে তিনি সর্বপ্রথম অবতরণ করেছিলেন তা ছিল বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। তিনি এ দ্বীপে অবতরণের পর এখানে অনেক লোক দেখতে পান যারা ছিলেন স্পেনের রাণী ইসাবেলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্পেনীয় আরব মুসলমান। কলম্বাস দ্বীপটিকে স্পেনের সম্পত্তি বলে দাবি করেন এবং এর নাম দেন সান সালবাদোর। এরপর ১৭১৭ সালে এখানে ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠে। বাহামার ইতিহাস গ্রন্থগুলো পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় যে, একাদশ শতাব্দীর আগে বাহামায় কোন জনবসতি ছিল না।
উপরোল্লিখিত বর্ণনায় দুটি বিষয় স্পষ্ট। এক, স্পেনের রাণী ইসাবেলার নির্যাতনে হাপিয়ে ওঠা স্পেনীয় আরব মুসলমানরা জীবনের মায়ায় সাগর পাড়ি দিয়ে বাহামায় এসে বসতি গড়ে তোলেন। আর এটা ১৪৯২ সালে গ্রানাডা পতনের আগের ঘটনা। যার প্রতি ইতিহাসের অখ- সমর্থন বিধৃত রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের এ বিস্মৃত অধ্যায়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ড. ইউসুফ মারওয়া লিখেছেন, বাহামায় ১৯৪৫ সালের আগে মুসলমানরা যে বাস করত সে সম্পর্কে দুটি দস্তাবেজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি দস্তাবেজে স্পেনের রাজা পঞ্চম সারলজ ১৫৩৯ সালে মুসলমানদের বংশধরদের বাহামায় উপনিবেশ নিষিদ্ধ করে নির্দেশ জারি করেছিলেন। ১৫৪৩ সালে আরেক নির্দেশের মাধ্যমে পূর্বের নির্দেশকে আরো জোরালো করা হয়। ড. কামাল কামেল আব্দুল হামিদ নুমার “আহওয়ালুত তারবিইয়াতুল ইসলামিয়াতু ফী আমেরিকা” শীর্ষক একখানা নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন যা ১৯০৮ সালে “আল-বুহুছুল ইসলামিয়া” পত্রিকায় ছাপা হয়। তিনি বলেন, ১১৫০ সালে মুসলমানরা স্পেনের বন্দর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজে করে কলম্বাসের পূর্বেই ব্রাজিলের উপকূলে গিয়ে পৌঁছে।
দুই, ক্রিস্টোফার কলম্বাস বাহামা দ্বীপপুঞ্জকে স্পেনের সম্পত্তি বলে দাবি করেছিলেন। আরব ও আফ্রিকার মুসলমানরা ৭১২ সালে তারেক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে স্পেন জয় করেন। এর ৭৮০ বছর পর আবু আব্দুল্লাহর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ১৪৯২ সালে স্পেন মুসলমানদের হাত থেকে চলে যায়। কিন্তু কলম্বাস যে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের সম্পত্তি হিসেবে দাবি করলেন, এটা কোন? কোন যুক্তি বলে? স্পেনের মুসলমানরা একাদশ শতাব্দীতে বাহামায় সর্বপ্রথম অবতরণ করেছিলেন সে জন্য? ড. আব্দুল আযীয বি-আব্দুল্লাহ এদিকে ইশারা করে জোর দিয়ে বলেছেন, একাদশ শতাব্দীর কোন এক সময় স্পেনের নাগরিক হয়ে আফ্রিকান আরব বণিকগণ বাহামায় পৌঁছেছিলেন। ঐতিহাসিক জিএ রোডজার্সও একই কথার প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, পশ্চিম আফ্রিকার ব্যবসায়ীরা ইউরোপীয়ানদের পূর্বেই আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন।  
কলম্বাস আমেরিকায় মসজিদ দেখেছেন
ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার ডায়রীতে লিখেছেন, তিনি ১৪৯২ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের কোন এক দিন যখন জাহাজে করে কিউবার উত্তর-পূর্ব সৈকতের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি এক পর্বত শৃঙ্গে সুরম্য একটি মসজিদ দেখেছিলেন।
ড. ইউসুফ মারওয়া বলেন, কিউবা, মেক্সিকো, টেক্সাস এবং নেভাদায় বেশ কয়েকটি মসজিদ, আজান খানা ও ইসলামী বিভিন্ন পুরনো নকশার চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে এখন যাকে গীর্জায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। তার দেয়ালে এখনো বিভিন্ন আরবী বাক্য অংকিত রয়েছে। তাতে রেখা রয়েছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। কিছুদিন পূর্বে টেক্সাস প্রাসাদের হিউলটোন শহরের একটি প্রাচীন প্রস্তর খ- উদ্ধার করা হয়েছে। এতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” অঙ্কিত আছে।
কামাগো অঙ্গরাজ্যের কিউবা দ্বীপে একটি অতি প্রাচীন গোলাকৃতির সাদা রং-এর গৃহ রয়েছে। গৃহের অভ্যন্তরটি বেশ প্রশস্ত। প্রচীরগুলো উঁচু উঁচু। মসৃণ শ্বেত প্রস্তর খ- দ্বারা গৃহটি নির্মিত। অগ্রে শক্ত লৌহের একটি তোরণ বিদ্যমান। চতুর্দিকে শৌখিন কাচের বাতায়ন রয়েছে। মার্বেল পাথরে মোড়ানো গৃহের ফ্লোর। ভেতরের কয়েকটি গোল স্তম্ভ রয়েছে। এ দুর্গটি কয়েকটি ক্ষুদ্র কক্ষে বিভক্ত। এর মাঝে চোখ ঝলকানো গগনচুম্বি গম্বুজবিশিষ্ট একটি সুপ্রশস্ত কক্ষ রয়েছে। কক্ষটির দেয়ালসমূহে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত খোদাই করে লেখা আছে। কক্ষের মিম্বার, মিহরাব, তেলের প্রদ্বীপ ইত্যাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ কক্ষটি এককালে এ কিল্লার মসজিদ ছিল। এ কিল্লাটি আমেরিকার প্রসিদ্ধ পর্যটন নগরী শিকাগোর চল্লিশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে আনুমানিক বারো মিটার দূরে হবে। প্রতœতত্ত্ব বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, এ দুর্গটি ১১৯২ সালে নির্মিত। অর্থাৎ ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অভিযানের তিন শতাব্দী পূর্বে। যা মুসলমানরা নির্মাণ করে ছিল।
আমেরিকায় মুসলমানদের আগে পৌঁছার দলিল
ড. জোন তালিশ তার বিখ্যাত গ্রন্থ “ক্রিস্টোফার কলম্বাসে” উল্লেখ করেছেন যে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকায় দ্বিতীয় ভ্রমণে গেলে হাইতির অধিবাসীরা তাকে জানায় আফ্রিকার নিগ্রো মুসলমানরা তার আগেই এ দ্বীপে এসেছিল। এর দলিল হিসেবে তারা তাকে আফ্রিকার মুসলমানদের রেখে যাওয়া কিছু অস্ত্র দেখায় যা এক প্রকার হলুদ খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি। আফ্রিকায় এই পদার্থকে “গাওয়ানিন” বলা হয়। মূলত গাওয়ানিন শব্দটি আরবী গনি শব্দ হতে নির্গত। ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার তৃতীয় ভ্রমণের ত্রিনিদাদ দ্বীপপুঞ্জে আবতরণ অন্তে দেখেন এখানকার মানুষ সুতা দিয়ে নিপুণভাবে রুমাল বানিয়ে ব্যবহার করছেন। তিনি লক্ষ্য করলেন এসব লম্বা লম্বা রুমাল আফ্রিকার গিনিয়া নামক অঞ্চলের মুসলমানদের ব্যবহৃত রুমালের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ। পাশ্চাত্য লেখক হেরনন কোরতাস আমেরিকার প্রাচীন রেড ইন্ডিয়ানদের পোশাকের বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, রেড ইন্ডিয়ানদের মেয়ে লোকেরা লম্বা উড়নাকে হিজাবের কাজে ব্যবহার করত এবং পুরুষেরা লম্বা রুমাল ব্যবহার করত যা এখনো আরব বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন জনপদে অবিকৃত অবস্থায় প্রচলিত আছে।
ফার্ডিন্যান্ড কলম্বাস তার পিতা ক্রিস্টোফার কলম্বাস লিখিত বইয়ে প্রাচীন আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান গোত্রের মেয়েদের পোশাকের বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, সেখনকার মেয়েদের পোশাক গ্রানাডায় স্প্যানিশ মুসলিম রমণীদের পোশাকের মতই ছিল। (চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বময় ইসলামের জাগরণ : সর্বপ্রথম মুসলমানরাই আমেরিকা আবিষ্কার করেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ