Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাত জোরদার বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের অবদান জোরদারে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শিল্পখাতের আওতাভুক্ত অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিরূপন করে খাতভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও শোভন কর্মপরিবেশ উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এর ফলে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ শক্তিশালী হবে।
জাতীয় পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে দক্ষতা উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি : গতিশীল উপাদানগুলোর একীভূতকরণ এবং আইএসআইএসসি’র ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) এবং ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস্ কাউন্সিল (এনএসডিসি) যৌথভাবে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস্ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে দু’টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসআইএসসি’র সদস্য সচিব মো. মাহাবুবুল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার তানজিল আহসান। এতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের পরিষদ (এনএসডিসি) সচিবালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খোরশেদ আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, আইএলও’র প্রধান কারিগরি পরামর্শক ¯েœহাল সনিজী, সুইস কন্ট্রাকের টিম লিডার মতিউর রহমান, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহ্সিনাহ্ আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পসচিব বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরি বাজারে প্রবেশ করছে। সরকারিখাতে এককভাবে এত লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধমে তাদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৬৬ ভাগ শ্রমজীবী উল্লেখ করে তিনি এ বিশাল জনগোষ্ঠিকে কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায়ন এনে কর্মীর হাতিয়ারে পরিণত করার তাগিদ দেন। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমপক্ষে তিনগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৮৭ ভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতে কর্মরত। এ বিশাল শ্রমশক্তির জন্য প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, শোভন কর্মপরিবেশ, চাকুরি স্থায়িত্ব ও আইনগত স্বীকৃতির সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয় না। তাদের জন্য খাতভিত্তিক উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ হাজার ১৬৩টি প্রতিষ্ঠান দক্ষতার উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে তারা এসব প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানোন্নয়নের তাগিদ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ