Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত - একথা শুনলে লজ্জা ও দুঃখ লাগে -ডেপুটি স্পিকার

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মো. আকতার হোসেন , হাতিয়া (উপজেলা) নোয়াখালী সংবাদদাতা ঃ
জাতীয় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, আপনারা আপনাদের সন্তানদের অন্তত অনার্স ক্লাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন দিবেন না। এতে শিক্ষার্থীরা নষ্ট হয়ে যায়। আর আপনার যা পারেন, আমরা কিন্তু তা পারি না। গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ।
এ এম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস। অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাতিয়া পৌরসভা মেয়র ইউসুফ আলী, উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. রেজাউল করিম, সাবেক এমপি ওয়ালী উল্লা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশিকুল ইসলাম ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে এলাহী মিলাদ প্রমুখ ।
প্রধান অতিথি নেপোলিয়নের একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘তোমরা আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব”। দেখেন আপনারা পারেন, আমরা কিন্তু পারিনা। এখন আমরা সবাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত । আমাদের চেয়ে মায়ের তার সন্তানদের বেশি খবর রাখেন। আবার আমাদের মায়েদের কারণেই সন্তানরা নষ্ট হয়ে যায়। সেই দিকেই খেয়াল রেখে বলতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সন্তান অন্তত অনার্স ক্লাসে ভর্তি না হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে মোবাইল ফোন কিনে দিবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক সম্পর্কে যখন আমাদের কাছে প্রশ্ন আসে তখন আমাদের লজ্জা লাগে। যখন শুনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য শিক্ষকরাই দায়ী, তখন নিজেকে খুব হেও প্রতিপন্ন মনে করি। লজ্জা লাগে, দুঃখ লাগে। এ জাতি যাবে কোথায়? যে দেশের মানুষ একটি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে সেই দেশের শিক্ষকরা একটি দুষ্কর্ম করবে তা ভাবতেও পারছি না। আমরা এও দেখি যখন শিক্ষার্থীদের সবাই ‘এ’ প্লাস পায় কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে মাত্র একজন পাস করে। প্রধান অতিথি হাতিয়া উপজেলাকে জেলা ঘোষণার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনি সংসদে ৭১ ও ১৭১ বিধিতে নোটিশ করেন, আমরা চেষ্টা করব। তবে আর যাই হোক বিষয়টি নিয়ে অন্তত আলোচনা হবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানবেন।
হাতিয়ার বিদ্যুৎ সমস্যার বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি প্রশাসনিকভাবে কোথাও কোনো চিঠি পাঠিয়ে থাকেন তার একটা কপি আমাকে দেন আমি বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই সহযোগিতা করব। ডিপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘শিক্ষায় আমরা অনেক এগিয়েছি কিন্তু কোয়ালিটি শিক্ষার অনেক অভাব। আমাদের কোয়ালিটি পূর্ণ শিক্ষা প্রয়োজন।’ এ সময় তিনি শিক্ষকদের প্রাইভেট ও টিউশনি থেকে সরে আসার আহŸান জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ