Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয় নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী অর্জনেরও তাগিদ

খুলনা শিপইয়ার্ড স্কুল ও কলেজের দুই দিনব্যাপী সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নাছিম উল আলম : ‘নবীন ও প্রবীনের এ মিলন মেলায় মেতে উঠি সবাই’ এ শ্নোগান নিয়ে গতকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী খুলনা শিপইয়ার্ড স্কুল এন্ড কলেজ-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যপী সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নবীন ও প্রবীন ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর খুলনা এরিয়া কমোডর কমান্ডিং কমোডর সামসুল আলম (জি), এনইউপি, এনডিইউ, পিএসসি-বিএন দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। শিপইয়ার্ড স্কুল এন্ড কলেজ-এর সবুজ প্রাঙ্গনে এ প্রানচ্ছল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর আনিসুর রহমান মোল্লা (এল) এনইউপি, পিএসসি-বিএন। প্রাক্তন ছাত্র ও সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহবায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল কমান্ডার (অবঃ) এএম রানা ‘শিক্ষাই শক্তি’ বলে তার বক্তব্য রাখেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শিপইয়ার্ড স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে প্রধান অতিথি জাতীয় পতাকা ও বিশেষ অতিথি স্কুল পতাকা উত্তোলন করেন। পরে প্রধান অতিথি সূবর্ণ জয়ন্তি স্মৃতিস্তম্ভ’র উদ্বোধন শেষে শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের আহŸায়ক রফিকুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্য শেষে কলেজ প্রিন্সিপাল কমান্ডার (অবঃ) এএম রানা তার বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অতীত ইতিহাস সহ বর্তমান প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষাকেই সব কিছুর চাবিকাঠি হিসেবে বর্ণনা করে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বলেও জানান। আর সে শিক্ষার জন্য ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভাল শিক্ষক মন্ডলী ও আদর্শ ছাত্র-ছাত্রীর কোন বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে নৌ বাহিনীর খুলনা এরিয়ার কমোডর কমান্ডিং কমোডর সামসুল আলম (জি), এনইউপি, এনডিইউ, পিএসসি-বিএন বলেন, আমরা এক নতুন যুগের মানুষ। এ যুগ শিল্প বিপ্লবের যুগ এবং এ বিপ্লবেরও ৪র্থ ধাপ অতিক্রম করছি আমরা। আর তা হচ্ছে, ‘ডিজিটাইলেজেশন’। তিনি বলেন, এ যুগে বাঁচতে হলে বিশেষ গুণাবলী থাকতে হবে। এটা বিশ^ায়নের যুগ। এ প্রসঙ্গে তিনি নবীন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যে দেশে নবীন সমাজ যত উন্নত, সে দেশ তত উন্নত। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা নতুন যুগের মানুষ। প্রতিযোগীতার যুগে টিকতে হলে, জ্ঞানের প্রয়োজন। আর সে জ্ঞানের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার। তিনি সকল শিক্ষার্থীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলারও আহবান জানান। প্রধান অতিথি কমোডর সামসুল আলম বলেন, কর্মকে সম্মান করতে হবে। শুধু পুথিগত বিদ্যাই নয়, আমাদের নেতৃত্বের গুণাবলীও অর্জন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড রুগ্ন হয়ে পড়েছিল। তা এক সময় হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হবার পরে তা এখন সারা বিশে^ একটি আইকন’এ পরিণত হয়েছে। কমোডর কমান্ডিং খুলনা, সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি পরস্পরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি নৈতিকতা অর্জনেরও তাগিদ দেন। পাশাপাশি তিনি সব ধরনের মাদককে না বলারও আহŸান জানান। অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথির ভাষনে খুলনা শিপইয়ার্ড স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর আনিসুর রহমান মোল্লা(এল)এনইউপি, পিএসসি-বিএন বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু সমাজের বিত্তবানদের জন্য নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদেরও শিক্ষিত করে তুলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।
কলেজ প্রিন্সিপাল কমোডর রানা বলেন, এখানের কলেজ শাখাটির এমপিওভুক্তির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধীকার তালিকাভ‚ক্ত রয়েছে বলে জানান ও অবকাঠামো উন্নয়নেও এপিপি’র আওতায় আগামী অর্থবছরে বড় ধরনের একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবার সম্ভবনার কথা জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ