বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাবি রিপোর্টার : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের প্রথম নারী ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীপন্থিদের একাংশের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’র বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ওই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিসির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যায়। এ সময় তারা একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদকে কেন্দ্র করে ভিসির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ওই সংবাদে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, বিধি ভেঙে ভোটারদের তথ্য চুরি করেছে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ প্যানেল। এ সংবাদে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভিসিকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। তখন ভিসি বলেন, প্রকাশিত ওই সংবাদে যদি কোন ভুল তথ্য থাকে তাহলে পত্রিকার নীতিমালা অনুযায়ী আপনারা প্রতিবাদ করুণ। ভিসির এমন পরামর্শে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। পরে ভিসিকে এক পর্যায়ে আটকে রাখে তারা। তখন ভিসি আশ্বাস দিতে বাধ্য হন শিগগিরই ওই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। তারপর তারা সিনেট কক্ষ ত্যাগ করে।
ভিসির একাধিক বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক ভিসি ও প্রাক্তন ছাত্রদের এমন আচরণে তিনি দারুন ভাবে মর্মাহত ও মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কারণ তাদের আচরন ও ভাষা ব্যাবহার ও প্রকাশ ভঙ্গি ছিলো অনেক বেশি আক্রমনাত্মক। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামীপন্থীদের আরেক প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল গ্রাজুয়েট মঞ্চ’। এ প্যানেলের পক্ষ থেকে মাহমুদ আলী রতন এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে অসৌজন্যমূলক আচারনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে পরিষ্কার বলে দিতে চাই, ভবিষ্যতে এমন হুমকি ধামকির কোন ঘটনা ঘটলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’ এছাড়াও বিএনপিপন্থীদের ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী’ প্যানেলও এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। প্যানেলের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হওয়ার আগেই ভিসির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। তারা নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কল্যাণকর কিছুই করতে পারেনা। একজন নারী ভিসির সাথে এমন আচরণের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ সিনেট হল থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওই প্যানেলের কয়েকজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবত কষ্ট করে ৪০ শতাংশ নাম্বার সংগ্রহ করেছি। অথচ পত্রিকার সংবাদ আমাদেরকে চোর হিসেবে সম্বেধন করেছে। আমরা যা করিনাই আমাদেরকে তা বলা হয়েছে। তাই আমরা ভিসিকে কঠোর ভাবে ওই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছি।’ অসৌজন্যমূলক কোন আচরণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তারা বলেন, ‘ ভিসির সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। শুধু আমরা নির্বাচনের বিভিন্ন অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরেছি।’
এসব বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবিরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে তাই কোন কথা বলতে পারবোনা। আর মোতাহের হোসেন মোল্লাকে ফোন করা হলে তার ব্যাক্তিগত সচিব স্যার মিটিংয়ে আছে বলে ফোন কেটে দেন। পরে ফোন দিলেও আর ফোন ধরেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।