Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জালিয়াত চক্র ও উত্তরপত্রের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়েই ফলাফল প্রস্তুত

রংপুরে পিইসির উত্তরপত্র মূল্যায়নে জালিয়াতি

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পীরগাছা (রংপুর) থেকে সরকার রবিউল আলম বিপ্লব :
রংপুরের পিইসির ১২শ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র জালিয়াতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব ভ‚মিকা পালন করছে। এঘটনায় দায়সারা ভাবে এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলেও জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। নেয়া হয়নি উত্তরপত্রগুলোতে প্রদানকৃত অতিরিক্ত নাম্বার সংশোধনের ব্যবস্থা। ওই অবস্থায় প্রস্তুত করা হয়েছে চ‚ড়ান্ত ফলাফল। ফলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি পিইসি পরীক্ষার উত্তরপত্র রংপুর জেলার মধ্যে এক উপজেলার উত্তরপত্র অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর সদর উপজেলার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। খাতা মূল্যায়নের সময় প্রধান পরীক্ষকদের জিম্মি করে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর খাতার মধ্যে ১২শ শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাছাই করা হয়। পরে খাতাগুলি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা নিজেরাই উত্তরপত্রের ভুল সংশোধন করে পরীক্ষকদের নিকট থেকে নাম্বার বাড়িয়ে নেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামানসহ ৬ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অসাদুপায় অবলম্বন করে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন। এতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওই কর্মকর্তাগণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও কিন্ডার গার্টেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
এঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মাহবুব এলাহী স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কাজে অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগের কারণে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেন। তাকে গত ১১ ডিসেম্বর পুণরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে সাময়িক ভাবে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এঘটনায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামানসহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে দায়সারা ভাবে একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও প্রায় ১২শ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রে প্রদানকৃত অতিরিক্ত নাম্বার সংশোধন ছাড়াই চ‚ড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পিইসির ফলালাফল প্রকাশিত হবে। ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘনিয়ে আসলেও উত্তরপত্রগুলোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ায় ফলাফলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ