Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে দুর্ভোগ কষ্ট পাচ্ছে অসহায়-দরিদ্র মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। এবার মৌসুমের শুরুতেই হাঁড় কাঁপানো শীত না থাকলেও গত দু’দিন চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। ঠান্ডায় কাবু ফুটপাতের অসহায় মানুষ। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শীতের তীব্রতা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বাড়ছে শীতার্ত অসহায় মানুষের দুর্ভোগও।
বিশেষ করে তীব্র শীতে ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অনাথ পথশিশু ভিক্ষুক আর অসহায় বয়োবৃদ্ধরা শীতের কষ্ট নিবারনের জন্য হাত পেতে বসে আছেন এক খানা শীতবস্ত্রের জন্য।
অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার এখনো দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র কিনে নিচ্ছেন। এমন কথাই বলেছেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার কয়েকজন ফুটপাতের অসহায় মানুষ।
অনেকেই চাঁদা তুলে টাকা জমিয়ে শীতের জামা কিনবেন বলে জানাচ্ছেন। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতে কাবু হয়ে ছেড়া কাপড় গায়ে জড়িয়ে শুয়ে আছে অনাথ শিশু, মহিলা ও শ্রমজীবী অসহায় মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই শীতে একটু গরম কাপড় পাওয়ার প্রত্যাশা থাকে । যে কেউ পাশে গিয়ে দাঁড়ালেই ওরা গরম কাপড় চেয়ে বসে।
অনেকেই মনে করেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আগ্রহীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে বিতরণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবে প্রকৃত শীতার্তদের কাছে প্রয়োজনীয় বস্ত্র অনেক সময় পৌঁছে না। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করলে সত্যিকারের শীতার্ত মানুষ উপকৃত হবেন।
এছাড়া শহরকেন্দ্রিক না করে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। প্রকৃত অসহায় মানুষের সংখ্যা গ্রামেই বেশি। এ জন্য উদ্যোক্তাদেরকে প্রত্যন্ত এলাকাকে বেছে নিতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ