Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মংলায় ভিড়েছে দুটি যুদ্ধজাহাজ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে দুটি নতুন জাহাজ ওপিভি সিজিএস মনসুর আলী ও কামারুজ্জামান। গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন (মংলা সদর দপ্তর) এ কোস্টগার্ডের পরিচালক (অপারেশন) ক্যাপ্টেন ইকরাম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুটি যুদ্ধ জাহাজ গ্রহণ করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। ৮৭ মিটার দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ এবং ১৩শ’ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ দুটি ঘণ্টায় ২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারবে বলে জানান জাহাজ দুটির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম এহসান উল্লাহ ও ক্যাপটেন মাসুদুল করিম সিদ্দিকি। তারা জানান, জাহাজ দুটিতে ২০ জন কর্মকর্তা ও ১৪০ জন নাবিক রয়েছেন।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ জুন ইতালির জেনেভায় জাহাজ দুটির সাজানো-গোছানোর কাজ শুরু হয়। সফলভাবে তা সম্পন্ন করে গত ১২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে হস্থান্তর করা হয়। এর আগে ইতালি থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে একই ধরনের দুটি জাহাজ ওপিভি সিজিএস সৈয়দ নজরুল ও তাজউদ্দীন আনা হয়। গত ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাজ দুটির কমিশনিং করেন। ওই দুটি চট্টগ্রামে রাখা হয়েছে। এই চারটি বড় জাহাজ সংযোজনের ফলে বাহিনীর সক্ষমতা অনেকে বেড়েছে। কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ‘বøু ইকোনমি’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড বাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালীকরণের জন্য নতুন জাহাজ দুটি সংযোজিত হয়েছে। যাত্রার শুরু থেকেই কোস্টগার্ড আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্রবন্দর এবং সমুদ্র সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান, ডাকাতি দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জান-মাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। সময়ের প্রয়োজনে বাহিনীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারের বহুমুখী প্রয়াস হিসেবে জলযান সংগ্রহ ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য মোট পাঁচটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সে অনুযায়ী ইতালি থেকে কেনা সিজিএস কামারুজ্জামান এবং সিজিএস মনসুর আলী বহরে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে নির্মাণাধীন দুটি ইনসোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) ও দুটি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট (এফপিবি) এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে আরও তিনটি ইনসোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি), একটি ফ্লোটিং ক্রেন ও ছয়টি বড় হাইস্পিড বোট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ