রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বোঝার উপায় নেই এটি স্কুল। স্কুলের চারপাশ ঘিরে সবজিরহাট। ভোর থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও পাইকারদের আনাগোনা। হৈ চৈ, ট্রাক আর বিভিন্ন যানবাহনের শব্দ। স্কুলের প্রবেশের পথটিও ফাঁকা নেই। সবখানেই সবজির স্ত‚প। এরই মধ্যে শ্রেণীকক্ষে যেতে হচ্ছে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের। মাঠ দখল হয়ে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের অ্যাসেম্বলি, খেলাধুলা ও নির্মল পরিবেশে চলাফেরা করতে পারে না। খেলার মাঠজুড়ে এমনকি বারান্দার দেয়াল পর্যন্ত দখলে সবজি বিক্রেতাদের। হাটের কোলাহল থেকে রক্ষা পেতে স্কুলের ভবনের বারান্দায় গ্রিল দিতে বাধ্য হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাইরের সবজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের হৈ চৈ চেচামেচির কারণে ক্লাসে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকরা জানান, স্কুল মাঠটি উপজেলা প্রশাসন বাজার হিসেবে ইজারা দেয়ায় সবজি বিক্রেতাদের বলার কিছুই নেই। এ নিয়ে তারা বেশি বাড়াবাড়ি করতেও ভয় পায়। নিয়মিত বাজারের কারণে লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। ফলে হাটের মধ্যেই কোনোরকম পাঠদান করতে হয়। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলে আসছে।অন্য সময়ের চেয়ে শীত মৌসুমে ক্রেতা বিক্রেতাদের দাপাদাপি বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানায়, সবজি বিক্রেতারা স্কুলের পশ্চিমের অংশে ক্লাসরুমের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করেন। ফলে দুর্গন্ধে তাদের স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে। স্কুলের মাঠ ব্যবহার করতে না পেরে তারা বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন জানান, ১৯৫১ সালে খাস খতিয়ানের ২৬ শতক ভ‚মিতে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। খাস খতিয়ানের ২৬ শতক ভ‚মি বর্তমান ভ‚মি জরিপে স্কুলের নামে রের্কডভুক্ত করা হয়েছে। স্কুলে বর্তমানে ১৫৬ জন শিক্ষার্থী থাকলেও দিনে দিনে তা কমছে। সচেতন কোনো অভিভাবক তার সন্তানকে এই স্কুলে দিতে চান না। বাজারটি অন্যত্র স্থানান্তর করে খেলার মাঠটি অবমুক্ত করে দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান আরো বাড়বে। চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আপন মিয়া বলেন, এই হাট তো আর আজকালের না। এটা অনেক দিনের। স্কুলটি স্থানান্তর না করা হলে এই সমস্যা সমাধান হবে না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছি। আশা করছি এ সমস্যা সমাধান হবে। মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, স্কুলটির ২৬ শতক ভ‚মি রয়েছে। স্কুলের মাঠে সবজির হাট বসার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। অতিদ্রæত স্কুলটি স্থানান্তর করে অন্যস্থানে প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরি। স্কুলটি স্থানান্তরের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।