রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুহুরীগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আজিজুল হক চৌধুরী, তার স্ত্রীর ও মেয়ের উপর হামলার মামলায় গত প্রায় ৩মাসেও তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদী ও তার পরিবার। বাদী রাশেদা বেগম ও তার পরিবার জানায়, ঘটনার এতদিন পরও মামলার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। পুলিশের আন্তরিকতা অভাবে এ মামলাটির কোনো কুলকিনারা হয়নি। মামলা বিবরণ ও এলাকাবাসী জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘোপাল ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান চেরাজুল হকের পুত্র আজিজুল হক চৌধুরীর দৌলতপুর গ্রামের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ১৫-২০ জনের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ভেতরে প্রবেশ করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে এবং দুপা ভেঙে দিয়ে মারাত্মক আহত করে আজিজকে। এসময় তার স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ঘণ্টাব্যাপী ঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। আহতদের প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আজিজুল হক চৌধুরীর স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা করেন। ঘোপাল ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক কারণেই আজিজুল হকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজিজুল হক এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ছাগলনাইয়ার ঘোপাল তদন্তকেন্দ্রের এসআই ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, ওই মামলার মালামাল উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।