Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লায় ১১ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেছেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ ও রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব মাত্র এক শতাংশের নিচে কমিয়ে আনার লক্ষে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এবার কুমিল্লার ১৬ উপজেলার ১৫ হাজার ৮১টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৫ জন শিশুকে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠকর্মীদের মাধ্যমে খাওয়ানো হবে। গুজব ছড়িয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও বিভ্রান্ত সৃষ্টির এখন আর কোনো সুযোগ নেই। মানুষ অনেক সচেতন।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। কর্মশালায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের কনসালটেন্ট ডা. খোকন চন্দ্র মজুমদার, মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. হাসান ইবনে আমিন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে একই দিন বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) অডিটোরিয়ামে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়–য়া জানান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫৬টি কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৬৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্যদিয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন’র দ্বিতীয় রাউন্ড উদযাপন করা হবে। আগামী শনিবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ কার্যক্রম তদারকি করা হবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার আহŸান জানিয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন কুসিক সচিব ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হেলাল উদ্দিন, কুসিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুল জলিল ও প্রধান প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া। কুমিল্লায় এবারে গত প্রথম রাউন্ডের চেয়ে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, লাকসাম পৌরসভাসহ জেলায় ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৯০১ জন শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলে তা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ