Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছ ধরতে পুলিশের বাধা

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রায়পুর (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকার পূর্ব মাসিমপুর গ্রামের একটি দীঘির মাছ ধরতে পারছেন পুলিশের বাধার কারণে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদেরকে মাছ ধরতে দিচ্ছেন না। মাছ ধরার সময় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ১০ জন জেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। সিমান্তবর্তী উপজেলার পূর্ব মাসিমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই লিখিত এমন অভিযোগ করেন। এ সময় হাবিবুর রহমান ফারুক, জাহাঙ্গীর শেখ, কামাল হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিনসহ ১০ জন এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
তারা লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, চÐিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাসিমপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন ভ‚ঁইয়ারা একটি দীঘি ও জমি ৭০ বছর ধরে দখল করে আছেন। দুই একর ৩৯ শতাংশের দীঘিটিতে মাছ চাষ করেন তারা। এ নিয়ে ২০০৩ সালে একই গ্রামের ওহিদ উল্যা মাঝি ও বিল্লাল হোসেন সাথে নিন্ম ও উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা হয়। এতে নিন্ম ও উচ্চ আদালত বিল্লালের পক্ষে দুইটি রায় দেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিল্লালের পক্ষে রায় দেয়। এতে বলা হয় যিনি দখলে আছেন তিনিই মাছ ধরাসহ ভোগদখল করতে পারবেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আবারো সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে ওহিদ উল্যা মাঝি। সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের আদেশটি বহাল রাখে। বিল্লাল হোসেনরা চলতি বছরও তিন বার ওই দীঘি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করেন। গত বৃহস্পতিবার বিল্লাল হোসেনরা মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ রামগঞ্জ থানার ওসি মো. তোতা মিয়া ওহিদ উল্যা মাঝির পক্ষে অবস্থান নেয়। পরে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এ সময় জালসহ ১০ জন জেলেকে আটক করে থানা নিয়ে আসে পুলিশ। তারা ওসিকে হাইকোর্টে রায় ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কপি দেখান। কিন্তু ওসি কিছুতেই হাইকোর্টের রায় ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানছে না। তিনি উল্টো হুমকি দিয়ে ওই পুকুর ও জমিতে না যাওয়ার জন্য বিল্লালকে নির্দেশ দেন।
ওহিদ উল্যা মাঝি বলেন, দীঘি ও পাশের জমিগুলো আমাদের মালিকানা। জোরপূর্বক বিল্লাল হোসেনরা দখল করে খাচ্ছে। তারা হাইকোর্টে রায় ফেলেও আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছি। যোগাযোগ করা হলে রামগঞ্জ থানার (ওসি) মো. তোতা মিয়া বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনায় এড়াতে উভয় পক্ষকে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়। সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের চ‚ড়ান্ত রায় হওয়ার পর মাছ ধরতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ