পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পদে চলছে ত্রিমুখী লড়াই। কে হচ্ছেন নতুন মহাপরিচালক? সম্ভাব্য তালিকায় আছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদি জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বর্তমান ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফের নাম।
সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী সপ্তাহে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমান ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। আগামীতে তাঁর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের চুক্তি মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ডিজি পদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা আসার পরে জনপ্রশানসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। ডিজির দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আমি এ মন্ত্রণালয়ে আসার আগে কোন দুর্নীতি করে থাকলে তা তদন্ত করে ডিজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান সামীম মোহাম্মদ আফজাল। এ পদে যোগদানের পর থেকে দীর্ঘ নয় বছর তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ না বাড়লে সে ক্ষেত্রে এই পদে নতুন করে নিয়োগ হবে। নতুন ডিজি পদের জন্য এক সাবেক সচিবসহ বিশিষ্ট তিনজনের কথা শোনা যাচ্ছে।
এরা হচ্ছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদি জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, অতিরিক্ত সচিব ওয়াসিউদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাবেক পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফের নাম।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল সরকারি খরচে ভারত, পাকিস্তান, মিশর, সউদী আবর, তুরস্ক, ইটালী, জার্মানী, জর্ডান, ইরাক, মালেশিয়া, আরব-আমিরাত, ইংল্যান্ড সফর করেছেন।
মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পের ৩৮ কর্মকর্তাকে মৌখিক নির্দেশে সরকারি চাকরি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ফিল্ড অফিসার পদে অতিরিক্ত নিয়োগ, প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া বিল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও দুদকে রয়েছে।
২০১৬ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল ও প্রকল্প পরিচালক এএমএম সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে সময় দুদক যে সব অভিযোগ তদন্ত করে সেগুলোরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, মৌখিক নির্দেশে সরকারি চাকরি প্রদান, মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পে নিয়োগপত্র ছাড়াই বছরের পর বছর কাজ করেন ৩৮ কর্মকর্তা, মৌখিক নির্দেশে ব্যবহার করছেন প্রকল্পের মোটরসাইকেল, তাদের স্বাক্ষরেই ব্যাংক থেকে তোলা হয় প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ, গণশিক্ষা কার্যক্রম কল্পের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে প্রকল্পে রাখা সোয়া কোটি টাকা শিক্ষকদের না দিয়ে তা আত্মসাৎ ইত্যাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।