Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গভীর রাতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : থানা ঘেরাও

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রংপুর জেলা সংবাদদাতা : সোমবার গভীর রাতে নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ২০ ওয়ার্ডের পাশাপাশি দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর এলাকা গুড়াতি পাড়ায় বেশ উত্তেজনাও দেখা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করলেও এখনও সেখানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও বহুলুল ইসলাম জেপলিনের বাড়ি একই মহল্লায় এবং একেবারেই পাশাপাশি। তৌহিদুল ইসলাম সাবেক কাউন্সিলর। আর বহুলুল ইসলাম জেপলিন সাবেক কমিশনার। তিনি পর পর ৩ বার নির্বাচিত হন। গত সিটি নির্বাচনে জেপলিন কাউন্সিলর পদে তৌহিদুলের কাছে পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনেও তারা দু’জনেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। সোমবার রাতে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছোট-খাট বিষয় নিয়ে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রুপ নেয়। কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামকে গুলি করার অভিযোগে পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ মিছিল নিয়ে কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে। এসময় তারা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিনকে এই ঘটনার জন্য দায়ি করে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম পুলিশের হ্যান্ড মাইকে সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলু মিয়া হ্যান্ড মাইকে দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানালে সমর্থকরা শান্ত হন।
কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাংবাদিক হাজি মারুফ জানান, পশ্চিম গুড়াতিপাড়ায় নির্বাচনী অফিসে জনগনের সাথে কথা বলার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিনের ছোট ভাই ও ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক লেলিন গুলি করে এবং অস্ত্র প্রদর্শন করে। ভাগ্যক্রমে আমার ভাই বেঁচে যান। এ ঘটনার পরপরই সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন।
এ নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গোটা মহল্লায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর রাত ১১টার দিকে ওই ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করে কাউন্সিলর প্রার্থী জেপলিনের সমর্থকরা থানা ঘেরার করে তৌৗহিদুল ইসলামের গ্রেফতার দাবি করেন। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলু মিয়া তাদেরকেও ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে জেপলিনও তার সমর্থকদের নিয়ে থানা ত্যাগ করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিন জানান, সেখানে কোন ধরনের গুলি কিংবা অস্ত্র প্রদর্শন হয় নি। কেউ সেটা করে নি। তৌহিদুল কাউন্সিলের পক্ষে সমর্থকদের থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি নাটক। তিনি বলেন, আমি পশ্চিম গুড়াতিপাড়ার বস্তি এলাকায় ওয়ার্ক করছিলাম। এমন সময় শুনি তৌাহিদুল ইসলাম সাহেব আমার বাবা মা বলে গালি দিয়ে উল্লাস করছেন। সেখানে আমার সমর্থকরা গিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। আমি দ্রæত সেখানে গিয়ে আমার সমর্থকদের নিয়ে ফিরে গিয়ে ওয়ার্ক করছি। তিনি বলেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে তৌহিদুল ইসলাম সাহেব এসব নাটক করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উভয় প্রার্থীর বাড়ি ১০০ গজের ভেতরে হওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ওয়ার্ডে চাপা ক্ষোভ আর উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে বলে কোতয়ালী থানা জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাউন্সিলর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ