পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শামীমকে অপসারণ করেছে। ঋণ কেলেঙ্কারি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপের মুখে ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় এ ঘোষণা আসলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন, গভর্নর ফজলে কবিরের এই নির্দেশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফারমার্স ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে আমানতকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ফারমার্স ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করা হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কে এম শামীমকে কেন ওই পদ থেকে অপসারণ করা হবে না-তা জানতে নোটিশ দিয়েছিল। ওই নোটিশের জবাব দিতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই নোটিসে দুটি অভিযোগ আনা হয়। তাদের একটি হচ্ছে ফারমার্স ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় এমডির ব্যর্থতা। অপর অভিযোগে বলা হয়, ব্যাংকটি ঋণ বিতরণ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মান্য করেনি। তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণে ব্যাংকটি নগদ জমা বা সিআরআরের এবং সংবিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআরের অর্থ রাখতে পারেনি। এমডিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই নোটিশ প্রদানের একদিন পরই ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পদত্যাগ করেন। তারপর ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীও পদত্যাগ করেন।
এ দুজনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ তাৎক্ষনিকভাবে মোহাম্মদ মাসুদকে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়। পরে ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠনের কথা জানানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মের বেশি ঋণ দিয়েছে ফারমার্স ব্যাংক। এসব ঋণ এখন আদায়ও হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকটিতে বড় ধরনের তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে গিয়ে খুব বেশি সাড়া পাচ্ছে না ব্যাংকটি। উল্টো আমানত তুলে নেওয়ার চাপ বাড়ছে দিন দিন। এ পরিস্থিতিতে চার বছর আগে যাত্রা শুরু করা এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে ফারমার্স ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭৭ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের সাত দশমিক ৪৫ শতাংশ। মার্চ-জুন সময়ে ব্যাংকটি খেলাপি গ্রাহকদের কাছ থেকে মাত্র সাত কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে। শীর্ষ ১০ খেলাপি গ্রাহকের কাছেই ব্যাংকটির পাওনা ১৩৪ কোটি টাকা। তারল্য সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা আমানত চেয়ে চিঠি দিয়ে কোনো সাড়া পায়নি ব্যাংকটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি রেপোর মাধ্যমে ৯৬ কোটি টাকার জোগান দিয়েছে ব্যাংকটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।