Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হচ্ছে হবে করেও হয়নি ময়মনসিংহ দ: জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোন ফর্মুলায় কমিটি প্রশ্ন নেতা-কর্মীদের
মো: শামসুল আলম খান : হচ্ছে, হবে করেও শেষ পর্যন্ত হয়নি ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি। এক অদৃশ্য সুতোর টানে আটকে আছে ময়মনসিংহের গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ইউনিটের কমিটি। মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন এ দু’টি কমিটি আলোর মুখ দেখছে না। সম্ভাব্য এ দুই ইউনিটের কমিটিকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কাজ করছে টানটান উত্তেজনা।
এক পক্ষ লম্ফঝম্ফ করে প্রচার করছে দু’টি কমিটিই নিজেদের ‘বগলদাবা’ করবেন। দলীয় প্রতিপক্ষ নেতাদের দলীয় রাজনীতি থেকে একেবারেই কিক আউট করবেন। আরেক পক্ষ দলীয় ‘টাকাওয়ালা’ এ বিরুদ্ধবাদীদের প্রচারণা কখনো নীরবে হজম করছেন। আবার কখনো ওই পক্ষের কথার বাণে টিকতে না পেরে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে অসহায়ের মতো কড়া নাড়ছেন।
দলের সঙ্কটে চরম ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া নেতারা দলীয় রাজনীতি যেন রাজনীতিকদের মুঠোতেই থাকে এমন যৌক্তিকতাও তুলে ধরে সুফল পাচ্ছেন না। বিশেষ করে কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় একশ্রেণীর নেতার রহস্যজনক ভূমিকা মাঠ আঁকড়ে পড়ে থাকা নেতার কর্মীদের রীতিমতো আশাহত করে ছাড়ছে।
কমিটি গঠনে মাঠ না টাকা কোনটার জোর বেশি হবে এ নিয়েও কানাকানি করছেন তারা। তবে এসব নেতার ভরসা ও আস্থার শেষ ঠিকানা দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারা মনে করেন, জেলা শহরে অবস্থান করা, আন্দোলন-সংগ্রামে দলের স্বার্থে নিজেকে নিবেদিত রাখা ও সাবেক ছাত্রনেতাদেরই নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় চেয়ারপারসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইনকিলাবকে বলেন, এ দু’টি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে কমিটি হয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়ে সামগ্রিক খোঁজখবর রাখছি। কমিটি গঠনে একেক সময় একেকজন এগিয়ে আসছেন। তবে পুরো বিষয়টি চ‚ড়ান্ত করবেন ম্যাডাম (দলীয় চেয়ারপারসন)।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে কী বলছেন এ সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অন্যান্য যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন তারাই মূলত নেতৃত্বে আসবেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসতে দীর্ঘদিন যাবৎ দলের দু’টি পক্ষের নেতারা শক্ত লবিং শুরু করেছেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক পক্ষের প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাখা হয়েছে সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাশেম ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু ওরফে ক্লাসিক বাবলুকে।
আবুল কাশেম গত কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটে দাঁড়িয়ে হজ করতে সৌদি আরব চলে যান। তিনি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও নব্বইয়ের দশকের মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদের কাছে ধরাশায়ী হন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও এবার ক্লাসিক বাবলুর সমর্থনে তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন এমন দাবি সূত্রের।
তবে তিনি অনেক বছর ধরেই ময়মনসিংহ শহরে থাকেন না, দলীয় কোনো কর্মকান্ড বা আন্দোলন-সংগ্রামেও নেই এমন অভিযোগ এনে এ পদ তাকে না দেয়ার বিষয়ে দলের আরেকটি পক্ষের নেতারা নানা যৌক্তিকতা ইতোমধ্যেই তুলে ধরেছেন হাইকমান্ডের কাছে। তবে আবুল কাশেমের পক্ষের লোকজনের বক্তব্য হচ্ছে- গত কাউন্সিলে তিনি হারার পর তাকে জেলা কমিটিতে প্রাথমিক সদস্য পদেও রাখা হয়নি। এ অভিমানেই তিনি দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। আবার তার দলীয় প্রতিপক্ষের বলয়ে একই পদে প্রার্থী করা হয় ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের সাবেক এমপি প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহম্মেদকে।
বয়সের ভারে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে তিনি ছিটকে পড়ায় এখন তলে তলে অধ্যাপক আবুল কাশেমের জায়গায় নিজেকে দেখার খায়েশ নিয়েছেন দাম্ভিক আচরণের জাকির হোসেন বাবলু। এ পদে এখন তার প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ফখরুদ্দিন বাচ্চু। বাচ্চুর পক্ষে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে সুপারিশ করেছেন জেলার ১১ ইউনিটের ১৭ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক
দু’জনেরই টাকা থাকলেও বাজির দরে বাবলু তাকে ছাড়িয়ে গেছেন বলেও নানামুখী কথাবার্তা প্রচলিত আছে। ছাত্র রাজনীতির সিঁড়ি মাড়িয়ে মূল দলের রাজনীতিতে আসা বাচ্চু আন্দোলন-সংগ্রামেও কারাবরণ করেছেন। মাঠ রাজনীতির বিবেচনায় বাবলু তার কাছে নেহাতই অপরিপক্ব বলেই মনে করেন অনেকেই।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ভাইয়ের দৌলতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে হারার মধ্য দিয়ে রাজনীতির পাদপ্রদীপে ক্লাসিকের আবির্ভাব ঘটলেও শুধুমাত্র টাকা খরচার জোরেই দলের কেন্দ্রীয় কোনো কোনো নেতার কাছে বাবলু হট সিটে রয়েছেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অভিযোগের সুরে বলেন, বাবলু রাজনীতিতে একেবারেই জুনিয়র। ময়মনসিংহেও তিনি অবস্থান করেন না। বছরের ৬ মাস ঢাকায় আর ৬ মাস দেশের বাইরে থাকেন। তাকে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক করলে দলের রাজনীতি গোল্লায় যাবে। তার মতো জুনিয়রের অধীনে সিনিয়র নেতারা কোনো অবস্থাতেই পদ-পদবি নেবেন না।
বিএনপির আরেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইনকিলাবকে বলেন, ‘জেলা আ’লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। তার সঙ্গে ফাইট করতে পারেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা ও ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন একজনকে এ পদে আনতে হবে। তাহলেই জেলার রাজনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।’
আবার বাচ্চুবিরোধী মহলের নেতা-কর্মীদের অভিমত, বাচ্চু নিজের উপজেলা ভালুকার রাজনীতিতেই নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পপতি মোর্শেদ আলমের সঙ্গেই তিনি পেরে উঠছেন না। তার ক‚টকৌশলের কারণেই গত উপজেলা পরিষদে জেতা নির্বাচনে হেরেছেন মোর্শেদ।
দুঃসময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য অকৃপণভাবে মোর্শেদ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন সেভাবে বাচ্চুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জিয়া পরিবারের সঙ্গেও মোর্শেদের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ‘নন-পলিটিক্যালম্যান’ বাবলুর পক্ষ না নিয়ে তিনি যদি নিজেও একটি পদে প্রার্থী হতেন সেটি দল ও নেতা-কর্মীদের জন্য মঙ্গলজনক হতো বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
সূত্র মতে, বাবলু-মোর্শেদ গ্রুপের অন্যতম ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন। অবশ্য এ বলয়ে রয়েছেন নব্য ও হাইব্রিড রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত আখতারুল আলম ফারুক। বয়সের বিবেচনায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী আপন চাচা শামসুদ্দিন বাদ পড়লেও ফারুক প্রচার করছেন, তার দৌড়ঝাঁপেই নাকি আউট হয়েছেন শামসুদ্দিন!
তার এমন লম্ফঝম্ফের কারণে মাঠ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতা-কর্মীরা ক্ষোভের অনলে পুড়ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের বদলে এসি রুম আর ঢাকাকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ফারুক নিজেকে ময়মনসিংহ-৬ আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জাহির করেও রীতিমতো হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন। তার মতো নেতা দলের জন্য গলার কাঁটা বলেও মনে করেন মাঠের কর্মীরা। এসব ব্যাপারে হঠাৎ রাজনীতিক আখতারুল আলম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার টেবিলে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর মাহমুদ আলম। দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তিনিও ছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের পরিচিত মুখ।
এদিকে নতুন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে মহানগর কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন এ নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী পরিচিত মুখ সাবেক ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ এবার নতুন মহানগরের প্রথম সভাপতি হতে প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় কার্যালয়কে ধ্যান-জ্ঞান করে পথচলা আপাদমস্তক এ রাজনীতিক হাইকমান্ডের কাছে মূল্যায়িত হবেন এমনটি মনে করেন তৃণমূলের কর্মীরা।
তাদের মতে, বিএনপি অন্তঃপ্রাণ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ওয়াহাব আকন্দ দলের প্রয়োজনে সব সময়ই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করেছেন। কঠিন দুঃসময়ে দেশের যেসব স্থানে দলের মিছিল-মিটিং বা আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে ময়মনসিংহে তিনি মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলীয় একটি সিন্ডিকেটের কোপানলে পড়ে এমন নেতারা নেতৃত্ব বঞ্চিত হলে মাঠের কর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
এ কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম উচ্চারিত হচ্ছে শহর বিএনপির সাবেক আহŸায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী রানার। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এ নেতাও দলের সঙ্কটে-দুঃসময়ে সোচ্চার ছিলেন। তবে এ কমিটিতেও জাকির হোসেন বাবলু সিন্ডিকেট নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে মিশন নিয়ে নামায় উৎকন্ঠা কাটছে না মাঠ নেতাদের।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে দু’পক্ষের গ্রæপিং-কোন্দল নিরসনে সভাপতি হিসেবে অনেকেই আবার চাচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) মহাসচিব ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এ নেতা ময়মনসিংহের রাজনীতিতেও গ্রহণযোগ্য। এখানে তার নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে তার একটি স্বচ্ছ ইমেজও আছে। তিনি জেলা কমিটির সভাপতি হলে সব বিভেদ-বিভাজন উবে যাবে বলেও মনে করেন অনেকেই।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলা মহিলা দলের কর্মী সমাবেশে তার প্রাঞ্জল, সময়োপযোগী ও সাহসী বক্তব্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করে। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ময়মনসিংহ শহরে স্থায়ীভাবে থাকেন এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকেই দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে।’
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির বিষয়ে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা সম্ভাব্য নেতাদের তথ্য-উপাত্ত নানাভাবে সংগ্রহ করছি। মাঠে কার কী অবস্থা, কে সক্রিয় ছিল, কে নিষ্ক্রিয় ছিল এসব বিষয়ও দেখা হচ্ছে। আমরা কমিটি গঠনের বেলাতে দু’টি বিষয়কে প্রাধান্য দেবো। যারা আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন এবং যাদের জনসম্পৃক্ততা আছে। সবাইকে নিয়ে চমৎকার একটি সমন্বয় করে আমরা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ