Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে উপস্থাপন

বলিউডের সিনেমায় আবারও মুক্তিযুদ্ধের বিকৃতি

বিনোদন ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবারও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে সিনেমা নির্মাণ করলো বলিউড। নিরাজ পান্ডে পরিচালিত ‘আইয়ারি’ নামের একটি সিনেমার গল্পে এই বিকৃতি করা হয়েছে। সিনেমাটির গল্পের ধরণ এমন, ১৯৭১ সালে নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। আর এই যুদ্ধে ভারতের বিজয়ের ফল হিসেবে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ! সিনেমাটির পোস্টার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করতে আসা ভারতীয় শহীদদের ঘিরেই এর গল্প। তবে সিনেমাটির মূল যে ভাব তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির শামিল। গত ১৬ ডিসেম্বর ভারতের শীর্ষস্থানীয় তিন সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস ও বলিউড হাঙ্গামা ‘আইয়ারি’র পোস্টার নিয়ে পৃথক তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পত্রিকাগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে! ওই যুদ্ধে ভারতের সাহসী সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই সিনেমাটি বানানো হচ্ছে। সিনেমাটির পরিচালক বলেছেন, বিজয় দিবস আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালে ভারতের বিজয়ের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের জন্য আমাদের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাই এইদিনেই পোস্টারটি ছাড়লাম। আমরা এটি উৎসর্গ করছি ভারতের সামরিক বাহিনী ও তাদের সাহসী পরিবারদের উদ্দেশ্যে। সিনেমাটিতে মেজর জয় বকশী চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তিনিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্টারটি শেয়ার করেন। ৩২ বছর বয়সী অভিনেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, এটি তাদের জন্য যারা আমাদের জাতির তরে নিঃস্বার্থভাবে আত্মত্যাগ করেছেন। পোস্টারের পুরোটা জুড়েই আছে ভারতীয় পতাকা। সিনেমাটির গল্প সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাকে ঘিরে। উভয়ে দৃঢ় মনের মানুষ। কিন্তু দুই প্রজন্মের এ দুই সেনার দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি আলাদা। কিন্তু দুজনই নিজের জায়গায় সঠিক। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি মুক্তি পাবে সিনেমাটি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এর আগেও বহুবার নানাভাবে বলিউডের সিনেমায় বিকৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গুন্ডে, দ্য ঘাজি অ্যাটাক (তেলেগু, বলিউড), ১৯৭১ বিয়ন্ড বর্ডারস (মালয়লাম)। এসব সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়।



 

Show all comments
  • Imam Foisal ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    এতদিনে ভারতের বাংলাদেশ প্রীতির উজ্জ্বল নমুনা পাওয়া গেল, এখন কেউই প্রতিবাদ করছেনা কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • Farhan Akbor ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও যে রক্ষা করা কঠিন সেটা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাবে আজকের প্রজন্ম!!
    Total Reply(0) Reply
  • Bashir Ahmed ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:৩৮ পিএম says : 0
    সরকারি দল, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ইনুপন্থী জাসদ, বাসদ, ছায়ানট, উদিচীসহ সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভারতের এই কটাক্ষ এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্যে মুখে লাগাম লাগিয়ে থাকেন কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • Mahbubur Rahman ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:৪০ পিএম says : 0
    তীব্র নিন্দা এবং কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত এ বিষয়ে যথাযথ ও জোরাল পদক্ষেপ নেবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Nizam Uddin ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:৪০ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কে অবমাননা করার অধিকার কে দিছে ভারত কে
    Total Reply(0) Reply
  • Al Mamun ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:৪১ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ নিয়ে ভারত থেকে বার বার বিভিন্ন ক্ষমতাশালী মহল যেসব উক্তি করে সেগুলি আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি রীতিমত কটাক্ষজনক এবং অবমাননাকর।
    Total Reply(0) Reply
  • Naimur ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:৫৮ পিএম says : 0
    যে ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই বিকৃত তা আর নতুন করে বিকৃত করার কিছুই থাকেনা! ৯ মাস অবিরত যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলার সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকিস্তান কে আত্মসমর্পণ না করিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে হানাদার বাহিনীর ৯০ হাজার সৈনিকদের, ভারতীয় সৈনিকদের কাছে কাগজ পত্রে আত্মসমর্পণ করানো হয়! ফল স্বরুপ এই দাঁড়ায় যে যুদ্ধ বাংলার মাটিতে হলেও সেটা ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ ছিলো এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ অস্ত্রসস্ত্রসহ বিপুল পরিমান সম্পদ ভারতীয় রা নিজ ভূমে নিয়ে যায়, এবং তাদের লুটপাটে বাধা প্রধান করায় ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মেজর.জলিল কে স্বাধীন বাংলায় প্রথম রাজবন্দী করা হয়! যেখানে ভারত প্রীতি কিংবা ভারতী আগ্রাসনের দরুন মুক্তিযোদ্ধা কে রাজবন্দী করা হয় সেখানে আজ ৪৬ বছর পর তাদের যাচ্ছেতাই কাজকর্মের বাধা প্রধান করার দুঃসাহস দালাল রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্যই নেই, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা চিরকালীন ভাবে পরাধীন হয়েছি, যা দালাল দের সামনে বললে তাদের আতে ঘা লাগে!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ