রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাষিরা বিপাকে
আবুল কাশেম চৌগাছা (যশোর) থেকে : যশোরের চৌগাছায় এক কেজি পিঁয়াজের দামে ৮ মন মুলা পাওয়া যাচ্ছে। পিঁয়াজের কেজি ১১০ টাকা হলেও মুলার মন মাত্র ১০ টাকা। ফলে মুলা চাষীরা মহাবিপাকে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার রইচ উদ্দীন জানান চলতি মৌসুমে উপজেলায় মুলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধা কপি, শিম, বেগুন, লাউ, পেপে, টমেটা, পটল, মিষ্টি কুমড়া, পালন শাক, পুইশাক, লালশাক, ধনিয়াপাতা ও বরবটিসহ বিভিন্ন জাতের তরি তরকারির চাষ হয়েছে প্রায় ২৬শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত তরকারির বাজারে দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এদিকে শীতের সবজির বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছেনা কৃষকরা। অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন না। কৃষকদের অভিযোগ উৎপাদিত সবজির দাম না পাওয়ায় সবজি নিয়ে মহাবিপাকে পড়তে হচ্ছে। গতকাল সোমবার সরেজমিনে উপজেলার পেটভরা, হাজরাখানা, ঠেঙ্গুরপুর, চাদপাড়া, হোগলডাঙ্গা, বুন্দলীতলা, বাটিকামারী পৌর এলাকার ইছাপুর, পাচনামনা, চাঁদপুর গ্রামের মাঠে গেলে চোখে পড়ে মাঠের পর মাঠ সবজির ক্ষেত। চৌগাছা পাইকারি কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা হাজরাখানা গ্রামের আবুল হোসেন জানান এ বছর সবজির ফলন খুবই ভাল হয়েছে তবে বাজারে দাম একেবারেই কম। পেটভরা গ্রামের আজিজুর রহমান জানান এ বছর আমার কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হওয়ার কথা সেখানে ২০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান বাজারে এক মন মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০/২০ টাকা। যা তোলা ও বহন ভ্যান ভাড়াও হচ্ছেনা। তাই অনেক চাষী ক্ষেত থেকে মুলা তুলছেনা। অনেকে সবজির ক্ষেত ছাগল-গরু দিয়ে খাওয়াচ্ছেন। কথা হয় সবজির ক্রয় করতে আসা ব্যাপারী আলামিন হোসেনের সাথে তিনি জানান চলতি মৌসুমে সবজি উৎপাদন হয়েছে ভাল কিন্তু যানবাহন ভাড়া অনেক বেশি বাজারে সবজির দামও একেবারে কমেগেছে। স্থানীয় ব্যাপারী ইমরাম হোসেন, আকবার আলী, নাসির উদ্দীন, আমির হোসেন, তোতা মিয়া জানান বর্তমানে সকল সবজির দাম ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় আজকের বাজারে আমাদের ৫/৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। আজ চৌগাছা বাজার থেকে বেশি সবজি কিনতে চাচ্ছিনা। কৃষক রহমত আলী জানান গতদি বাজারে ১৫ মন মুলা এনে ছিলাম কেউ কোন দাম বলেনি শেষে পাশের নদীতে মুলা ফেলে দিয়েছি। আজ ও অনেক সবজি দবিয়ে-চটকিয়ে কমদাম বলছে অনেক ক্ষেত্রে দাম ও বলছেন না। সবজি বিক্রি করে বহন ভাড়া ও শ্রমিকদের মুজুরী না হওয়ায় অনেকে পটেক থেকে দিচ্ছেন।
তারা জানান কৃষি খাতের ব্যয় আগের তুলনায় ৪/৫ গুন বেড়ে গেছে। তাই কিটনাশক, সার-সেচ খরচ অনেক বেশী পড়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সবজি উৎপাদন খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। সবজির উৎপাদন খরচ বিঘা প্রতি ২০/২৫ হাজার টাকা সেখানে কোন কোন সবজি বাজারে বিক্রিও হচ্ছে না। তাই অনেকে ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন না। ফলে লাভের আশায় চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।