Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভার ডেইরি ফার্মে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দুই কর্মচারী মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : অসুস্থ থাকায় পর্যাপ্ত ছুটি না দেওয়ায় সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুই কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই দুই কর্মচারীরর পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা হচ্ছেন সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাবেদ আলী (৫৫) ও গোয়ালা শফি উদ্দিন মোল্ল্যা (৫৬)।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাবেদ আলী সম্প্রতি দায়িত্ব পালনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি কতৃপক্ষের কাছে চার দিন ছুটি চাইলে তাকে দুই দিনের ছুটি দেওয়া হয়। এসময় সে দুই দিনের ছুটি শেষ হলে তাকে অফিসে ডেকে আনেন কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের বায়ার অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফিরোজ। এসময় সে আবার অসুস্থ অবস্থায় অফিসে এসে দায়িত্ব পালনের সময় ১৩ তারিখে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কতৃপক্ষ উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অসুস্থ থাকায় তাকে ছুটি না দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী মিনারা বেগম। এঘটনায় সংসারের একমাত্র উর্পাজনের ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অন্যদিকে অসুস্থ থাকার পরেও ছুটি না পাওয়ায় শফি উদ্দিন মোল্ল্যা নামের এক গোয়ালা নিজ বাড়ি মেহেরপুরে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তাকে সময়মত ছুটি না দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ সে যখন বেশী অসুস্থ ছিলো তখন তাকে ছুটি না দিয়ে কয়েকদিন পরে দুই দিন ছুটি দেন কতৃপক্ষ।
এবিষয়ে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এর বায়ার অফিসার ডাঃ গৌরাঙ্গা বসাক আমাদের ভুল হয়েছে, তাদেরকে সঠিক সময়ে ছুটি দিলে তারা মারা যেত না এখন মরে গেছে কি আর করার। এখন থেকে কেউ অসুস্থ হলে আগেই ছুটির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
কতৃপক্ষের গাফিলতির কারনে ওই দুই কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি স্বীকার করে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এর উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানে একজন মরবে আবার একজন চাকুরীতে প্রবেশ করবে এটাই নিয়ম। ইচ্ছে করলেই কাউকে সহজে ছুটি দেওয়া যায়না। তাদের পরিবার যদি আমার কাছে এবিষয়ে কোন অভিযোগ দেয় বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।
সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কর্মচারীদের অভিযোগ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শুধু সরকারী গরু চুরি করে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমনকি দুধ বিক্রির টাকাও তারা লুটপাট করছে কেউ এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি ধামকি প্রদান করা হয়।
এছাড়া গত কয়েকদিন আগে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকটি গরু চুরির অভিযোগে প্রায় কয়েকজনকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ