Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নির্দিষ্ট সময়ে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:১০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের বাগাতিপাড়া-নাটোর প্রধান সড়ক এর উপজেলা সদর থেকে তমালতলা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার প্রায় দু’মাস পার হলেও দৃশ্যমান কাজ হয়েছে বিশ থেকে পঁচিশ ভাগ। তবে ঠিকাদারের দাবি মানসম্মত কাজ করার জন্যই ভাল ইটের অপেক্ষা করাতে একটু সময় নিতে হচ্ছে। প্রশাসন যেন নির্বিকার!
সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া পৌরসভার মালঞ্চি বাজার থেকে তমালতলা মহিলা কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে তিন ফুট বৃদ্ধি করার কাজ শুরু হয়েছে গত ১২ জুন। ২০ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ কারার কথা নাটোরের উত্তর বড়গাছার মীর হাবিবুল আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। বর্তমানে বিশ থেকে পঁচিশ ভাগ দৃশ্যমান কাজ হওয়ার কথা স্বিকার করেছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তব্যাক্তি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দু’পাশে খুঁড়ে রাখার কারণে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। বাগাতিপাড়া-নাটোর প্রধান সড়কটির পাশে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, পৌরসভা, বেশ কিছু হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ মাস আগে কাজটি শুরু করা হলেও খুবই ধীর গতীতে এগুচ্ছে। তাতে করে স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, ব্যবসায়ী, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাতে নাগরিকসেবাভোগী সহ সর্বস্তরের জনগণকে সিমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাজটি পেয়েছেন নাটোরের উত্তর বড়গাছা’র মীর হাবিবুল আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমিরুল ইসলাম জাহান কাজের ধীর গতির কথা স্বিকার করে দাবি করেন, ভাল ইট না থাকার কারণে কাজ একটু বিলম্ব বলা যায়, তবে বর্তমানে ভাল ইট বের হয়েছে। আসা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রোকৌশলী এএসএম শরিফ খান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বারবার ভালো ইট না পাওয়ার দোহাই দিয়েছেন। আমার দপ্তর থেকে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, সড়কের সংস্কারের কাজটি শেষ করার জন্য আমি নিজে ওই ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, সমন্বয় মিটিং এ উঠিয়েছি আবার জেলা নির্বাহী প্রেকৌশলীকে বলেছি তারপরেও কাজটি সম্পন্ন করেনি। ঠিকাদারের অবহেলার কারণেই কাজটি এখনও শেষ হয়নি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ