বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিড়ন্বনায় পড়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। প্রশ্ন ওঠে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারনে স্বচ্ছতার বিষয়টি। হঠাৎ করে বহুগুন বাড়িয়ে দেয়া হয় ট্যাক্স। প্রতিবাদে অবরোধ, মানববন্ধন, হরতাল কর্মসুচি পর্যন্ত পালিত হয়। নি¤œ আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত মামলা হয়। উচ্চ আদালত বিধি মোতাবেক হোল্ডিং ট্যাক্স নেবার নির্দেশনা দেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র গত বছরের চেয়ে বহুগুন বেশী ট্যাক্স ধার্য করেন। এনিয়ে আপীল হলে কিছু কমে। তবে তা খুব একটা সহনীয় ছিলনা। চলতি বছরে পূর্নমূল্যায়ন হারে কর পরিশোধ করেছেন ত্রিশ হাজার হোল্ডিং এর মালিক। যাদের গুনতে হয়েছে গত বছরের চেয়ে পনের বিশ গুন বেশী টাকা। এদিকে নির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আইনী লড়াই শেষে মেয়রের চেয়ারে ফের বসার পর নাগরিকদের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনতে আপিল করার উদ্যোগ নেন। এখানেও একশো টাকা দিয়ে আপিল ফরম কিনে আপিল করেন আরো ত্রিশ হাজার হোল্ডিং মালিক। যার নিষ্পত্তি হবার কথা ছিল চলতি মাসের হোল্ডিং ট্যাক্স সংক্রান্ত বোর্ডের সভায়। কিন্তু এর মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেশের সব সিটি কর্পোরেশনকে হোল্ডিং ট্যাক্স পুন: মূল্যায়ন কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে পত্র আসে। পত্রে স্বাক্ষর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আবুল ফজল মীর। তাতে বলা হয়েছে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ এ কার্যক্রম চালাতে পারবেনা। ভবিষ্যতে অনলাইন ভিত্তিক অটোমেশন ভিত্তিতে কর আদায় করা হবে। এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে মেয়রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে সিটি মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠকে জানানো হয়, গৃহকর পূর্নমূল্যায়ন নিয়ে বিপুল সংখ্যক আপত্তি স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা পড়েছে। বেশীর ভাগ অভিযোগই পূর্নম্যল্যায়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে। পূর্নম্যল্যায়ন প্রথাগত ম্যানুয়াল (যান্ত্রিক) পদ্ধতি অনুসরন করার কারনেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গৃহকর পূর্নমূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনেকে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন। এ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই। নাগরিক সেবা প্রদান কার্যক্রম সম্পূর্ন স্বচ্ছ জনবান্ধব ও অনলাইনে সম্পাদন নিশ্চিত করতেই গৃহকর পূর্নমূল্যায়ন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস ১৯৮৬ এর বিধান অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পর পর গৃহকর নতুর করে নির্দ্ধারিত হওয়ার কথা। সে নিয়মে চলতি বছরের শুরুর দিকে তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিজাম উল আজিম গৃহকর পূর্নমূল্যায়ন করেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোনো অনুমোদন না নিয়েই দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র চলতি বছরের শুরুর দিকে গৃহকর পূর্নম্যূায়ন কার্যক্রম শুরু করেন। সেখানে বহু গুন কর বৃদ্ধি করা হয়। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে নগরবাসী। যা আদালতেও গড়ায়। তিনি বলেন, ৩০ হাজার লোক ইতিমধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিয়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা কমানোর জন্য আরও ৩০ হাজার আপিল রয়েছে। এখন এ কার্যক্রম স্থগিত করার নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ওদের টাকা কিভাবে ফেরত দেব। তবে এ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে আলোচনা করা হবে। তাদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।