বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এসকেএম নুর হোসেন, পটিয়া থেকে : চট্টগ্রামের পটিয়ায় দিন দিন খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ২০ দিনের ব্যবধানে ৫ জন খুন হয়েছে। বার বার খুনের ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি সনের জানুয়ারী থেকে বর্তমান ডিসেম্বর পর্যন্ত পটিয়ায় ১৫ জন ব্যক্তি খুন হয়েছে। এছাড়া রহস্যজনক অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে আরো ১০ জনের। ফলে চলতি সনে হত্যার সংখ্যা ২৫ জন। যার গড় হার প্রতি মাসে ২ জন। চট্টগ্রাম জেলার ১৬ থানার মধ্যে খুনের ক্ষেত্রে পটিয়া রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। পারিবারিক কলহের কারণে হত্যা, আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। খুন ছাড়াও পটিয়ায় ধর্ষণ, ছিনতাই, গরু চুরির ঘটনাও সমান্তরালভাবে বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় পটিয়া থানায় অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে থানায় মামলা রেকর্ডের সংখ্যাও বেশি।
এ মাসের শুরুতে পটিয়ায় সর্বশেষ খুন হয় গত ১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে খরনা গ্রামে। মাদক ব্যবসায়ী ২ গ্রæপের দ্ব›েদ্ব আবদুল আলিম (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী খুন হয়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর পটিয়া পৌরসভার বাহুলী এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা রেল লাইনের পাশে ফেলে দেয়। ২৫ নভেম্বর পটিয়া কলেজের পূর্ব গেইটে নিরিবিলি হোটেলের পার্শ্বে আজম নামের এক ব্যক্তিকে দিনে দুপুরে পিটিয়ে খুন করে। গত ৩০ নভেম্বর রাতে মাইক্রোচালক কাশেমকে ছিনতাইকারীরা জবাই করে হত্যা করে। তারা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও গাড়ি মালিকের প্রযুক্তির কারণে পটিয়া পোস্ট অফিস এলাকায় গাড়ি আটকে যায়। এতে গাড়ি ও লাশ রেখে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। লোমহর্ষক এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। একই দিন পুত্রের হাতে কচুয়াই এলাকার মোশাররফ (৬০) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়। চলতি সনে যারা খুন হয়েছে তাদের মধ্যে ২৬ জানুয়ারী জঙ্গলখাইন এলাকায় ইশরাত জাহান (২০), ১ ফেব্রæয়ারী কেলিশহর গুচ্ছগ্রামে ওয়াসিম (২৮), ১০ ফেব্রæয়ারী কোলাগাঁও গ্রামে মোহাম্মদ বাহাদুর (৩০), ১৪ ফেব্রæয়ারী কেলিশহর সেন পাড়ার ধনা সেন (২৫), ১৮ মে কুসুমপুরা থানামহিরা গ্রামে খুন হওয়া অজ্ঞাত ৪০ বছরের এক লাশ উদ্ধার করা হয়, ২ জুন জিরি এলাকার কুলছুমা (২৩), ৮ জুন ছনহরা এলাকার আবদুল হক (৩০), ১৪ জুন পটিয়া হাসপাতালের ৩৫ বছরের এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২২ জুলাই হাইদগাঁও এলাকায় গাছের সাথে বেঁধে জমির হোসেন নামের ১ যুবককে খুন করা হয়। বিভিন্ন মাসে অপর ১০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিভিন্ন কারণে খুনের ঘটনা ঘটছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনার ক্লু-উদ্ধারসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।