Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে রায় বিএনপি মাথা পেতে নেবে -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ যে রায় দেবে বিএনপি তা মাথা পেতে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি সরকার ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে জনগণই প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়। ওই নির্বাচনে জনগন যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেবো।
গতকাল (শনিবার) মহান বিজয় দিবসের দিন সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে গণতন্ত্র পুরোপুরিভাবে নির্বাসিত। গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকরা সাহস করে লেখতে পারে না। মানুষের যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সেটাও আজকে চলে গেছে। সরকার আমাদেরকে শাসন করছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং অনৈতিকভাবে। তিনিবলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অপর্ণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা শপথ নিয়েছি যে, গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছি সেই সংগ্রাম আমাদের অব্যাহত থাকবে, লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত। তবে শ্রদ্ধা জানানোর পথে পুরোপুরি প্রতিবন্ধকতা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বার বার খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আটকে দেয়া হয়েছে যাতে করে আমরা সময় মতো শ্রদ্ধা জানাতে না পারি।
বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমরা বরাবরই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্ত আমরা দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। তার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। পরবর্তিকালে ১/১১ এর অবৈধ-বেআইনি সরকার আসার পরে দেশনেত্রীর যে দৃঢ়তা তার কারণে কিছুটা হলেও আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। এই সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্তর কাজ শুরু করেছিলো, আজকে সেটা তারা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। ফের আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই করছি, গণতান্ত্রিক একটা শক্তির পক্ষে যা করা দরকার তার চেয়ে আমরা বেশি করছি। গত ৮ বছরে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গুম-খুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতো কিছুর পরেও আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করছি, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও বেলা ২টার দিকে শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়া। এই সময়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ছিলেন যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিবর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, জাসাস সভাপতি প্রফেসর মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ