পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) এলাকায় নাগরিকদের মধ্যে এখন ভোটের আবহ। নন্দিত মেয়র আনিসুল হকের হঠাৎ মৃত্যুর পর ডিএনসিসি’র মেয়র পদ শুন্য ঘোষণায় এ আবহ সৃষ্টি হয়। নির্বাচন কমিশন সংবাদ সম্মেলন করে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানালে ‘মেয়র উপনির্বাচনী’ বাতাসে নতুন ঢেউ লাগে। সাধারণ ভোটাররা যেমন ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন; তেমনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে উৎস্বাহ-উদ্দীপনা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিএনসিসি উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এরই মধ্যে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিক অনুষ্ঠানে আনিসুল হকের মতো পরিচ্ছন্ন-কর্মঠ-ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করায় দলীয় নেতাদের পাশাপাশি কয়েকজন ব্যবসায়ীর নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে ভোট করতে পারেন এমন খবরও প্রচার করা হচ্ছে।
মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শুন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের টিকেট প্রার্থীদের আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা রয়েছেন অনেকেই। তবে দলের হাইকমান্ডের গ্রীণ সিগনাল না পাওয়ায় এখনও মাঠে দেখা যায়নি কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশীকে। দলের প্রার্থীতার বিষয়ে সতর্কভাবে পা ফেলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কেননা এ উপনির্বাচনের ফলাফল প্রভাব ফেলবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর। তাই ক্ষমতাসীনরা এ উপনির্বাচনে জয়ের বিকল্প ভাবছে না। সেজন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রার্থী বাছাইয়ে কাজ করছে দলটি। তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চমকের কথা ভাবছি না। আমরা উইনিবল (বিজয়ী হওয়ার যোগ্য) প্রার্থীর কথা ভাবছি। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা ও আওয়ামী মনোভাবাসম্পন্ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক কিন্তু নেতা নয়-এমন কয়েকজনকে নিয়েও আমরা চিন্তা করছি। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লিন ইমেজের স্বপ্নচারী ও সাহসী আনিসুল হকের মতোই কাউকে প্রার্থী করতে চায় দলটি। এ জন্য একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কাজ করছেন কয়েক সিনিয়র নেতা। বিশ্লেষন ও বিজয়ী হওয়ার সামর্থ রয়েছে এমন কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর ‘সুপার ফাইভ’ সংক্ষিপ্ত তালিকা চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী যাচাই-বাছাই শেষে দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে গ্রীণ সিগনাল দেবেন।
সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মতো পরিচ্ছন্ন, বিতর্কহীন ও ক্যারিশম্যাটিক ইমেজের প্রার্থীর সন্ধান করছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই উপ-নির্বাচনে সকলের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিয়ে একদিকে যেমন নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে চায় সরকারি দলটি অপরদিকে সরকারের জনপ্রিয়তাও প্রমাণ করতে চায়। এরইমধ্যে সরকারি দলটিতে কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী তা চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। তবে দলটির শীর্ষনেতারা বলছেন, এবারও ডিএনসিসি নির্বাচনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমক দিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাবেন।
সংশ্লিষ্ট্ররা মনে করছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনকে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক ঐক্যও পরীক্ষা করে দেখতে চায় দলটি। এই উপনির্বাচনের ফলাফল একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করছে তারা। তাই এখানে শক্তিশালী প্রার্থী দেয়ার পাশাপাশি দলের সকল উইং ব্যবহার করে ফলাফল নিজেদের ঘরে তুলতে চায় দলটি।
অনেকে বলছেন, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজধানীর চা দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও। তবে এখনও প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সরকারি দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা। তারা বলেন, দলের বিজয় নিশ্চিত করতে পরিচ্ছন্ন প্রার্থী খুঁজে বের করার ব্যাপারে দ্বিমত নেই আওয়ামী লীগের ভেতরে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর এক সদস্য বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটিতে শেষ পর্যন্ত মেয়র হিসেবে প্রার্থী বেছে নিতে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তিত্বকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। সদস্য প্রয়াত মেয়রের পরিবারের সদস্যদের নিয়েও দলের কারও কারও মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, এ রকম পরিস্থিতিতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরিবারকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও বিষয়টি বিবেচনায় আসছে।
সরকারের শেষ সময়ে এ উপ-নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শুরু হয়ে গেছে নানা হিসাব-নিকাশ; চলছে নানামুখী তদবির। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ এখনি মন্তব্য না করলেও ঘুরে ফিরে আসছে কয়েকটি নাম। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় প্রথমেই উঠে আসছে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক ও মরহুম মেয়রের ছেলে নাভিদুল হক। যদিও সম্প্রতি আনিুসল হকের স্ত্রী রুবানা হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচনে তার বা তার পরিবারের কারও প্রার্থীতার বিষয়ে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে-তা নিয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহুর্তে তার পরিবার এ বিষয় নিয়ে কোনো ভাবনা ভাবছে না।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি ও ঢাকা-৯ আসনের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের নামও দলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় আছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা সারাহ্ বেগম কবরী। আলোচনায় আছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে অতীতের মতোই পরিচ্ছন্ন, জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বেছে নেবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখান থেকেই আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।