Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাত ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি

| প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাতকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি বীমা খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (ইউআইসিএল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবি আর)-এর কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাতকে ভ্যাট মুক্ত করার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অবহিত করা হলে তিনি তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে অদ্যাবদি ইউআইসিএল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবীমা সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং সুইস কারিগরি সহায়তায় একট যৌথ পাইলট প্রকল্পের আওতায় ইউআইসিএল তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নি¤œ আয়ের শ্রমিকদের ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবাও দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমা এবং পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে ইউআইসিএল বিশেষ অগ্রণী ও পথিকৃৎ এর ভূমিকা পালন করছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের অনেক শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্যসেবা ও বীমার আওতায় আনতে ইচ্ছুক থাকা সত্তে¡ও স্বাস্থ্য খাতে সার্বিক ব্যয় ও পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সঙ্গে অসামঞ্জস্যের কারণে স্বাস্থ্যবীমা সেবা গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নিরুৎসাহব্যঞ্জক হয়ে পড়ে। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেবাদাতারা সরকারি বিধান অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে স্বাস্থ্যবীমা সেবাকে হ্রাসকৃত মূল্যে আকর্ষনীয় ও লাভজনকভাবে গ্রাহকদের কাছে উপস্থাপন করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
ইউআইসিএল-এর দাবি, ভ্যাট মওকুফ সুবিধা পেলে বীমাকারী অপেক্ষাকৃত সীমিত লোকসানে সেবা বিক্রি এবং বীমা গ্রহিতা অধিকতর স্বল্প মূল্যে সেবা ক্রয়গ্রহণ করতে সক্ষম হতেন। কোম্পানিটি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) হিসেবে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় লরার চেষ্টা করছে। দেশের মোট জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে মধ্য ও নি¤œ আয়ের মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবীমা সেবা পৌঁছানোই এর মূল লক্ষ্য। কিন্তু প্রিমিয়ামের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত থাকার কারণে সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে গ্রাহকরা স্বাস্থ্যবীমা সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাত ভ্যাট-এর আওতামুক্ত রাখতে পারলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যবীমা সেবা গ্রহনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, সরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে নি¤œ আয়ভুক্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বীমার আওতায় আনার মাধ্যমে সরকার জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তাই, ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবা দেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিক কর্মচারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রসারের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র বীমা খাতে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করলে সাধারন মানুষ উপকৃত হবে।
উত্থান-পতনে শেয়ারবাজার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার দরপতনের এক কার্যদিবস পরেই ঢাকা (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সে সঙ্গে সিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন কমে ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আগের দিন এ সূচকটি কমে ২৭ পয়েন্ট। আর সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ৪১ পয়েন্ট। আগের দিন এ সূচকটি কমে ৬০ পয়েন্ট। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার ২২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হওয়া ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৯৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গত ১৩ জুনের পর সর্বনিম্ন। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সিএমসি কামালের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংকের ১০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিডি থাই, আরএকে সিরামিক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং লিগ্যাসি ফুটওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৬৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১২৬টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ