Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আজ ১৫ ডিসেম্বর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস মরণপণ যুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৭ নং সেক্টরের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমায় ছিল দু’টি সাব-সেক্টর। একটি মহদিপুর সাব-সেক্টর, অন্যটি দলদলি সাব-সেক্টর। মহদিপুর সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর এবং দলদলি সাব-সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন লে. রফিক। মুক্তিযুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে ৭ নভেম্বর লে. রফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মকরমপুর ও আলীনগরে অবস্থিত পাকবাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালালে পাঁচ পাকসেনা নিহত হয়। এ সময় অন্যরা মহানন্দা নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। অপর দিকে ১০ ডিসেম্বর চরবাগডাঙ্গা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রসর হন এবং পাকসেনাদের বাংকার দখল করে নেন। এ সময় অন্যান্য এলাকা শত্রæমুক্ত হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে যায় পাকিস্থানি সেনা ও তাদের অনুগত রাজাকারদের দখলে।

১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা শহর দখলের জন্য মহানন্দা নদীর ওপারে বারঘরিয়ায় অবস্থান নেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর তার বিশাল বাহিনীকে তিন ভাগে ভাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য আক্রমণ শুরু করেন। তিনি একটি ছোট নৌকা নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে রেহাইচর গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং শত্রæদের লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করতে করতে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। রাতের আধার পুরোপুরি কেটে যাওয়ার আগেই পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির জানালা থেকে পাকবাহিনীর ছোড়া একটি বুলেট ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের কপালে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হন। পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়াশি অভিযানে পাকিস্থানিরা পিছু হটলে মেজর গিয়াস, লে. রফিক, লে. কাইউম, ডা. মইন উদ্দীন আহমেদ মন্টু ও শাহাজাহান মিয়ার নেতৃত্বে মক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে প্রবেশ করলে শত্রæমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মুক্তিযোদ্ধারা উদ্ধার করেন শহীদ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ। ওই দিনই বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ